Loksabha Election 2024

উপভোক্তাদের ভয় দেখিয়ে ভোটে জিতেছেন মমতা, অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর

শুভেন্দু অভিযোগ করেন, সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনের পর যেভাবে লক্ষ্ণীর ভান্ডার-সহ বিভিন্ন প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেভাবেই বিজেপিকে ভোট দিলে প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে আশঙ্কা তৈরি করা হয়েছিল।

Advertisement

অমিত রায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪ ২১:৩৩
Share:

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার অফিসের সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব ছবি।

উপভোক্তাদের ভয় দেখিয়ে ভোটে জিতেছেন মমতা। এমনটাই অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিকালে কাঁথি জেলা বিজেপির অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই শুভেন্দু অভিযোগ করেন, সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনের পর যেভাবে লক্ষ্ণীর ভান্ডার-সহ বিভিন্ন প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেভাবেই বিজেপিকে ভোট দিলে প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে আশঙ্কা তৈরি করা হয়েছিল।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। আমাদের তরফে বলা হয়েছিল বিজেপি এলে অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে বলা হয়েছিল। কিন্তু এক শ্রেনীর ভোটারকে ভয় দেখানো হয়েছিল যে সব বন্ধ হয়ে যাবে। যেহেতু বুথ ভিত্তিক ফল আসে, তাই ভোটারদের মধ্যে কিছুটা ভয় কাজ করেছিল।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘আতঙ্কের পরিবেশ ও বেনিফিশারি, সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এটা হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে। একদিকে সংখ্যালঘু ভোটাদের একাট্টা করা হয়েছে, লক্ষ্ণীর ভান্ডার কেড়ে নেব। প্রকল্পের টাকা বন্ধ হয়ে যাবে। সাগরদিঘিতে বন্ধ করেছি, তোমাদেরও বন্ধ করে দেব। এই যে হুমকি আর সীমাহীন নির্লজ্জ ভাবে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনকে ব্যবহার করা হয়েছে।’’

লোকসভা ভোট ২০২৪

বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ‘‘চতুর্থ দফা থেকে পুলিশের অত্যাচার চলেছে। বেশ কিছু বুথে মৃত এবং অনুপস্থিত ভোটারদের ভোট বিকালের দিকে দিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। অনেক ভোটারদের বাধা দান করা, ভোটারদের আই কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই একই অভিযোগ ষষ্ঠ ও সপ্তম দফায় আমরা কমিশনে জানিয়েছিলাম।’’ তবে বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলের প্ররোচনায় পা না দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি লোকসভা আসনেই জয় পেয়েছে বিজেপি। তা সত্ত্বেও রাজ্য জুড়ে বিজেপির বিপর্যয়ের কারণে শুভেন্দুর নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement