রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র ।
মমতা বলেন, ‘‘মোদী বলছেন আমার বাবা-মা ছিল না। ইশ্বর নাকি তাঁকে তৈরি করেছেন। জগন্নাথ দেবও নাকি ওঁর ভক্ত। বলে দিচ্ছে তা হলে আপনার মন্দির তৈরি করে দেবে। তুলসি, ধূপ দিচ্ছি। খাও-দাও বসে থাক। দেশটাকে বিক্রি করতে হবে না।’’
মায়েরা যত দিন বেঁচে থাকবেন লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন। মথুরাপুরে মন্তব্য মমতার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপির মতো বড় চোর নেই। বিজেপি না করলে কাদা। আর বিজেপি করলে সাদা?’’
বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘‘মোদীর গ্যারান্টি ফোর টোয়েন্টি। দেশটাকে, জাতিটাকে, সংবিধানটাকে বিক্রি করে দিয়েছে। যত শীঘ্র বিজেপি সরকারকে সরানো যায়, ততই মঙ্গল। মেয়েরা পর্যন্ত মাথায় করে মাটি তোলে। তাদের ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি। আমরা দিয়েছি। যে পাকা বাড়ির ছবি দেখাচ্ছে তা-ও মিথ্যা। মিথ্যাবাদীর দল। ১১ লক্ষ পাকা বাড়ি আমরা বানিয়ে দেব।’’
মমতা বলেন, ‘‘বিজেপি যেটা বলে করে না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিথ্যা বলছে। সকাল থেকে প্রচারবাবুর ছবি। বলছেন, জগন্নাথদেবও ওঁর ভক্ত ছিল। হেরে যাবেন বলে হারাতঙ্ক রোগে ভুগছেন। তাই আবোল-তাবোল বকছেন।’’
মমতা বলেন, ‘‘মানুষ যখন কোথাও বিচার পায় না তখন আদালতে যায়। কিন্তু এখন মানুষকেই নিজের বিচার করতে হবে। আমরা আদালতের অসম্মান করি না। কিন্তু কয়েক জনের রায়ের ভিত্তি নেই। কোনও বিচারপতি বলেন, আরএসএস করতাম।’’
মমতা বলেন, ‘‘আমি দিল্লির সরকারকে বলেছি সেতু করে দিতে। করেনি। আমরাই করে দেব। আমরা যা বলি তা করি।’’
বিজেপিকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘বিজেপি মিথ্যা কথা বলে। আর একটা পার্টি সিপিএম এবং কংগ্রেস। আমরা দিল্লিতে জোট ‘ইন্ডিয়া’তে আছি। সম্ভবত ‘ইন্ডিয়া’ ক্ষমতায় আসবে। আমরা নেতৃত্ব দেব। এখন ইচ্ছা করে সরকার প্ল্যান করেছে, যাতে মুসলমান ভাইয়েরা হজে চলে যায়। ভোট দিতে না পারে। বাকি ভোট যেন পড়ে। ইচ্ছা করে আপনাদের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দেয়। ১৫ লক্ষ ওবিসি কার্ড বাতিল করে দিল। মগের মুলুক! আমি আরও উচ্চ আদালতে যাব। আমি রায় মানি না। লজ্জা করে না?’’
মমতা বলেন, ‘‘চৌধুরী মোহন জাটুয়ার মতো ভাল মানুষ হয় না। কিন্তু এখন অসুস্থতার জন্য বেরোতে পারেন না। কিন্তু বাকিরা আছে। ভাল ভাবে কাজ করে। এ বার আমরা এক কর্মী বাপি হালদারকে প্রার্থী করেছি। ও মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে।’’
‘‘ঘূর্ণিঝড় আসতে পারে। যাঁরা সমুদ্রে মাছ ধরতে যান তাঁদের বারণ করা হয়েছে সমুদ্রে যেতে। কিছু হলে প্রশাসন আছে।’’ সাগরে গিয়ে বললেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে অভিষেক বলল গঙ্গাসাগর যেতে হবে। প্রতি বছর গঙ্গাসাগর নিয়ে মিটিং হয়। আমার মন্ত্রীরাও দায়িত্বে থাকে। দিল্লির সরকার এর জন্য কিছু করেনি।’’
মমতা বলেন, ‘‘মিটিং বিকালে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া ভাল নেই। সুন্দরবনকে প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়তে হয়। আমরা মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করি।’’