Chief Electoral Officer

কপ্টারে চেপে প্রচার করতে যেতে চেয়ে ১৪৫টি আবেদন জমা পড়েছে কমিশনে, তার মধ্যে কতগুলি খারিজ?

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর শুক্রবার জানিয়েছে, ১ মার্চ থেকে শুক্রবার তালিকা প্রকাশের আগে পর্যন্ত রাজ্যে ১৩ কোটি ১ লক্ষ টাকা হিসাব-বহির্ভূত নগদ উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪ ২২:০৫
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

তারকা প্রচারকদের সভাস্থলে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারে চাপতে এবং হেলিপ্যাড ব্যবহার করতে হলে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করাটাই নিয়ম। এ রাজ্যে এ রকম আবেদন জমা পড়েছে ১৪৫টি। শুক্রবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানাল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। তার মধ্যে ২৪টি আবেদন বাতিলও করেছে কমিশন। গ্রহণ করেছে ৯৬টি। ছ’টি আবেদন নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। পড়ে রয়েছে ১২টি। অন্য সাতটি আবেদন রাজনৈতিক দলগুলির তরফেই বাতিল করা হয়েছে।

Advertisement

‘সুবিধা পোর্টাল’-এ লগ ইন করে কপ্টারের আবেদন করতে হয় রাজনৈতিক দলগুলিকে। এমনকি, জনসভা করতে গেলে তারও আবেদন করতে হয় এই পোর্টালের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে যে দল আগে আবেদন করবে, তাদের আগে অনুমতি দেবে কমিশন। যে সব লোকসভা কেন্দ্রে প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় ভোট, সেখানেই জনসভা করতে চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলির আবেদন বেশি করে জমা পড়ছে কমিশনে। ১৯ এপ্রিল, প্রথম দফায় রাজ্যে ভোট রয়েছে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। কোচবিহারে সভা করতে চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে ৪,৮৩৮টি। কমিশন খারিজ করেছে ৮৫৮টি। জলপাইগুড়িতে জনসভা করতে চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে ২,১২০টি। খারিজ হয়েছে ৩০০টি। আলিপুরদুয়ারে জনসভা করার আবেদন জমা পড়েছে ২,১৩৭টি। খারিজ হয়েছে ১৬৮টি।

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর শুক্রবার জানিয়েছে, ১ মার্চ থেকে শুক্রবার তালিকা প্রকাশের আগে পর্যন্ত রাজ্যে ১৩ কোটি ১ লক্ষ টাকা হিসাব-বহির্ভূত নগদ উদ্ধার হয়েছে। ২০ লক্ষ ২৫ হাজার ২৪৯.৮ লিটার মদ উদ্ধার হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। ২৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার মাদক, ৩৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার দামি ধাতু, ৫৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকার উপঢৌকন, ৪৮ কোটি ১০ লক্ষ টাকার অন্য দামি জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এগুলি সবই হিসাব-বহির্ভূত। কমিশনের হয়ে এই কাজটি করে থাকে ইডি, আয়কর দফতর, রাজ্য পুলিশ, সিবিআই-সহ বিভিন্ন তদন্তকারী ও কেন্দ্রীয় সংস্থা।

Advertisement

নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণের জন্য ‘সিভিজিল’ নামের একটি অ্যাপও চালু করেছে কমিশন। সেই অ্যাপে কেউ কোনও অভিযোগ জানালে কমিশন ১০০ মিনিটের মধ্যে তাঁর সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে। কমিশন জানিয়েছে, সেই অ্যাপে শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পর্যন্ত ৭,৩২৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ৬,১৮২টি অভিযোগ নিয়ে পদক্ষেপ করেছে কমিশন। ১,০৩৬টি অভিযোগ বাতিল করা হয়েছে। ১০৭টি অভিযোগ শোনা বাকি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement