(বাঁ দিক থেকে) ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল এবং মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ। — ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের হয়ে ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল, মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ এ বার লোকসভার ভোটে লড়তে চলেছেন। আজ কংগ্রেসের প্রথম কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বঘেল রাজনন্দগাঁও থেকে প্রার্থী হতে রাজি হওয়ার পরে নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধী দলের বাকি প্রবীণ নেতাদের উপরে ভোটের ময়দানে লড়ার জন্য চাপ বাড়িয়েছেন। রাহুল আগে থেকেই বলছিলেন, কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বাড়াতে হলে দলের ‘হেভিওয়েট’ নেতাদের ভোটে লড়তে হবে। আজ ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার ফাঁকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে যোগ দেন রাহুল। বঘেলকে দেখিয়ে বলেন, বাকিদেরও ওঁর থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত।
কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, এর ফলে অশোক গহলৌত, সচিন পাইলট, ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা, কমল নাথ, দিগ্বিজয় সিংহ, রণদীপ সুরজেওয়ালা, কুমারী শৈলজার মতো নেতাদের উপরে প্রার্থী হওয়ার জন্য চাপ তৈরি হল। আজ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে ১০টি রাজ্যের ৬০টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিল্লি, কর্নাটক, তেলঙ্গানা, ছত্তীসগঢ় ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি রয়েছে। শুক্রবার কংগ্রেসের প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে। তবে রাহুল গান্ধী বা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা অমেঠী থেকে লড়বেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত পরে হবে। গত লোকসভা ভোটে অমেঠীতে রাহুলকে হারানো স্মৃতি ইরানি আজও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, “কংগ্রেস নেতার ক্ষমতা থাকলে এসপি-র সমর্থন ছাড়া শুধুমাত্র অমেঠী থেকে প্রার্থী হয়ে দেখান। যদি তিনি এ বারও অমেঠীর সঙ্গে ওয়েনাড়ে লড়েন, তা হলে বোঝা যাবে, আগেই অমেঠীতে হার মেনে নিয়েছেন।”