—ফাইল চিত্র।
দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোট-প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। সেই সময়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও হেনস্থার অভিযোগ উঠল। শুধু তা-ই নয়, বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের কারও সোনার হার ছিনতাই করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসকদল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওই বিক্ষোভ সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ!
রবিবার সকালে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। চাকদহ থানার শিমুরালি মালোপাড়ায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান তিনি। অভিযোগ, সেখানে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। জগন্নাথের উপর হামলাও চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় বিজেপি কর্মীদের ফোন। জগন্নাথের দাবি, তাঁর দলের এক জনের সোনার হার ছিনতাই করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পরে ঘটনাস্থলে যান চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। এর পর বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ ও বঙ্কিম কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে চাকদহ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। জগন্নাথ বলেন, ‘‘একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। স্থানীয় কিছু তৃণমূলী দুষ্কৃতী আমার উপর হামলা চালায়। আমার কর্মীদের মোবাইল ফোন ও সোনার হার ছিনতাই করে নেওয়া হয়। ভোটের আগে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল।’’
যদিও এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। জগন্নাথের বিরুদ্ধে পাল্টা অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘যে কোনও ঘটনায় নাটকীয়তা তৈরি করতে ওস্তাদ বিজেপি প্রার্থী। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসে নিজেই অশান্তি তৈরি করেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দাঁড় করিয়ে তিনি তিন তৃণমূল কর্মীকে মারধর করেছেন। এর বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ দেখিয়েছেন।’’