— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রাজ্যে শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ভোটগ্রহণ। সে দিন থেকে বাড়ি বসে ভোট দিতে পারবেন ৮৫ বছরের বেশি বয়সি এবং দৃষ্টিহীনেরা। প্রথম দফার জন্য বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ চলবে ৫ এপ্রিল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রথম দফা অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল রাজ্যের তিন কেন্দ্র— কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ভোট রয়েছে।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর জানিয়েছে, রাজ্যে ৮৫ বছরের বেশি বয়সি ভোটারের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭১৯। তাঁদের মধ্যে ১০১ বছরের বেশি বয়সি ভোটার রয়েছেন ৩,৫৪১ জন। ১০১ বছরের বেশি বয়সি ভোটার সব থেকে বেশি রয়েছেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে। সেখানে তাঁদের সংখ্যা ৩০৯। সব থেকে কম রয়েছেন কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে। সেখানে ১০১ বছর বা তার বেশি বয়সি ভোটারের সংখ্যা মাত্র ১১।
অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) অরিন্দম নিয়োগী জানান, রাজ্যে ৭২ হাজার ৩০৯ জন দৃষ্টিহীন ভোটার রয়েছেন। ৮৫ বছরের বেশি বয়সিদের পাশাপাশি, তাঁরা চাইলেও বাড়ি বসে ভোট দিতে পারবেন। যাঁরা বাড়ি বসে ভোট দিতে ইচ্ছুক, তাঁদের আবেদন মঞ্জুর হলে বাড়িতে যাবেন দু’জন নির্বাচনী আধিকারিক, এক জন ভিডিয়োগ্রাফার এবং নিরাপত্তারক্ষীর দল। বাড়িতে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদান করবেন ওই প্রবীণেরা। যাঁরা বাড়ি বসে ভোট দেবেন, তাঁদের তালিকা থাকবে ওই কেন্দ্রের প্রার্থীর কাছে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ।
নির্বাচনী নীতির ২৭এ ধারাটি ২০২০ সালে সংশোধন করা হয়। তাতে আরও কিছু ভোটারকে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের সুবিধা করে দেওয়া হয়। সেই তালিকায় ছিলেন ৮০ বছরের বেশি বয়সি, যাঁরা ৪০ শতাংশেরও বেশি শারীরিক ভাবে অক্ষম, নির্বাচনী আধিকারিক এবং কোভিড আক্রান্তেরা। সপ্তাহ কয়েক আগে আবার সেই নীতির সংশোধন করা হয়। তাতে বলা হয়, এ বার থেকে ৮৫ বছরের বেশি বয়সিরা বাড়ি বসে ভোটদানের সুবিধা পাবেন।
অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তালিকা প্রকাশের আগে পর্যন্ত এ রাজ্য থেকে ১০ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা হিসাব-বহির্ভূত নগদ উদ্ধার হয়েছে। ওই সময় কালে উদ্ধার হয়েছে ১৬ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭৬ লিটার মদ। যার দাম ৩৯ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা। বৃহস্পতিবার তালিকা প্রকাশের আগে পর্যন্ত ২১ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকার মাদক, ৩১ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকার দামি ধাতু, ৩৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার উপঢৌকন উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলি সবই হিসাব-বহির্ভূত।
নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণের জন্য ‘সিভিজিল’ নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে কমিশন। ওই অ্যাপে কেউ কোনও অভিযোগ জানালে, কমিশন ১০০ মিনিটের মধ্যে তাঁর সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে। কমিশন জানিয়েছে, ওই অ্যাপে বৃহস্পতিবার তালিকা প্রকাশের আগে পর্যন্ত ৩,৫৪৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ৩,০১৬টি অভিযোগ নিয়ে পদক্ষেপ করেছে কমিশন। ৪৮১টি অভিযোগ বাতিল করেছে। ৪৮টি অভিযোগ শোনা বাকি।