মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। —ফাইল ছবি।
জবাব দিতে কবিতা। ভুয়ো খবরের অসারতা বোঝাতেও কবিতা। আবার নির্বাচনী প্রচারে কুকথা, ব্যক্তিগত আক্রমণের পরিণামের কথা বোঝাতেও কবিতা। শনিবার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের দিনে এ ভাবেই নিজের বক্তব্য বোঝাতে কবিতার আশ্রয় নিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।
ইভিএম নিয়ে বিরোধীরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বার বার। ভোটযন্ত্রে কারচুপির জেরেই কেন্দ্রের শাসক দল বারবার মসনদ দখল করছে কি না তা নিয়ে চর্চা হয়েছে নানা শিবিরে। কাঠগড়ায় উঠেছে কমিশন। ইভিএম নিয়ে যাঁরা সন্দেহ প্রকাশ করে কমিশনের দিকে আঙুল তোলেন তাঁদের উদ্দেশে রাজীবের বার্তা, ‘‘আধুরি হসরতোঁ কা ইলজ়াম হর বার হাম পর লাগানা ঠিক নহি, ওয়াফা খুদ সে নেহি হোতি, খাতা ইভিএম কি কহতে হো, অউর বাদ মে জব পরিণাম আতা হ্যায় তো উসপে কায়েম ভি নেহি রহতে।’’ অর্থাৎ, আশা পূর্ণ না হলে কমিশনকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়।
প্রচারে কুকথার আশঙ্কা করে রাজীব বলেন, ‘‘দুশমনি জম কে করো, লেকিন ইয়ে গুঞ্জায়িশ রহে, জব কভি হাম দোস্ত হো যায়ে তো শর্মিন্দা না হো।’’ অর্থাৎ প্রবল শত্রুতা হোক। কিন্তু বন্ধুত্ব হয়ে গেলে যাতে লজ্জিত হতে না হয় সেই সুযোগ রাখতে হবে।
আবার রহিমের কবিতা উল্লেখ করে রাজীবের বক্তব্য, ‘‘রহিমন ধাগা প্রেম কা, মত তোড়ো চটকায়ে, টুটে পে ফির না জুড়ে, জুড়ে গাঁঠ পরি জায়ে (প্রেমের বন্ধন এক বার ছিঁড়লে আর জোড়ে না, জুড়লেও দাগ পড়ে থাকে)।
ভুয়ো খবরের জেরে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা দেখেছে দেশ। ভোটের সময়ে ভুয়ো খবরের বাড়বাড়ন্ত হয়। এ নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘ঝুট কে বাজ়ার মে রৌনক বহুত হ্যায়, গোয়া বুলবুলে জ্যায়সে তুরন্ত হি ফাট জাতে হ্যায়.....পাকড় ভি লোগে তো ক্যায়া হাসিল হোগা সিবায়ে ধোখে কে (মিথ্যের বাজার ঝকমক করে। কিন্তু তা টেকে না। মিথ্যে নিয়ে সফল হলেই বা কি হবে? ধোঁকা ছাড়া কিছুই পাবে না।)’’