Lok Sabha Election 2024

বরাহনগর, ভগবানগোলায় উপনির্বাচন কি লোকসভার সঙ্গেই? শুক্রে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন

বরাহনগর এবং ভগবানগোলা কেন্দ্র দু’টি বর্তমানে বিধায়কহীন। সেখানে উপনির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শুক্রবার বৈঠকে বসবে কমিশন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ২০:৩৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই কি রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন ঘোষণা করা হবে? নির্বাচন কমিশন সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। বরাহনগর এবং ভগবানগোলা কেন্দ্র দু’টি বর্তমানে বিধায়কহীন। সেখানে উপনির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শুক্রবার বৈঠকে বসবে কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিস (সিইও) শুক্রবার বেলা ১১টায় এ বিষয়ে বৈঠক করবে। সেখানে থাকবেন সংশ্লিষ্ট দুই জেলা মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক।

Advertisement

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর অফিস। —নিজস্ব চিত্র।

মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন ইদ্রিশ আলি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন তিনি। ফলে ওই আসনটি ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। বরাহনগর আসনটিও বর্তমানে ফাঁকা। কারণ ওই কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তাপস রায়। তার পর গত ৬ মার্চ তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই দু’টি কেন্দ্রেই ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হবে। সেই অনুযায়ী শুক্রবার বৈঠকে আলোচনা করে কমিশনের দিল্লির সদর দফতরে তথ্য পাঠাতে চলেছে সিইও অফিস।

লোকসভা নির্বাচনের দিন এখনও ঘোষিত হয়নি। নির্বাচন কমিশনে দু’টি পদ ফাঁকা ছিল। বৃহস্পতিবারই সেই শূন্যপদ পূরণ হয়ে গিয়েছে। দেশের দুই নির্বাচন কমিশনারের পদে এসেছেন সুখবীর সিংহ সান্ধু এবং জ্ঞানেশ কুমার। এই দুই শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি। লোকসভার বৃহত্তম বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা হিসাবে কমিটিতে ছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনিই দেশের নতুন দুই নির্বাচন কমিশনারের নাম প্রকাশ্যে আনেন। মোদী এবং অধীর ছাড়াও বাছাই সংক্রান্ত কমিটির তৃতীয় সদস্য হিসাবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শূন্যপদ পূরণ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই মনে করছেন, ভোট ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা। দু’এক দিনের মধ্যেই নির্বাচনের দিন জানিয়ে দিতে পারে কমিশন।

Advertisement

উল্লেখ্য, দেশে এক জন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ মোট তিন জন নির্বাচন কমিশনারের থাকার কথা। এত দিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার অরুণ গয়ালই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তৃতীয় নির্বাচন কমিশনারের পদটি দীর্ঘ দিন ধরেই শূন্য। কিন্তু গত শনিবার হঠাৎই ইস্তফা দেন অরুণ। দু’টি পদ খালি হয়ে যায় কমিশনে। কেবল মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বেই দেশে লোকসভা নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। সেই শূন্যপদই পূরণ হয়ে গেল বৃহস্পতিবার। এ বার নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার সঙ্গেই বাংলার দুই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিনও ঘোষণা করতে পারে কমিশন। শুক্রবার সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement