প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাহুল গান্ধী। —ফাইল ছবি।
ভোট প্রচারে গিয়ে ধর্মের জিগির তোলায় নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল। তার কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে। আজ বিজেপি এর উত্তর দিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আরও এক সপ্তাহ সময় চাইল। আজ বেলা ১১টার মধ্যে বিজেপির এ বিষয়ে জবাব দেওয়ার কথা ছিল।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মোদী হিন্দু ও শিখ ধর্মকে ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন— এই অভিযোগ এনে দিল্লি হাই কোর্টেও মামলা হয়েছিল। আর্জি ছিল, আগামী ছয় বছরের জন্য তাঁকে যেন ভোটে লড়তে না দেওয়া হয়। আজ দিল্লি হাই কোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ও আদালতে অভিযোগ ছিল, তিনি ধর্মের জিগির তুলে ভোট চাইছেন। মুসলিমদের নাম করে তাঁদের বিরুদ্ধে বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার অভিযোগ তুলে, তাঁদের অনুপ্রবেশকারী বলে বিদ্বেষ তৈরির চেষ্টা করছেন। দিল্লি হাই কোর্টে নির্বাচন কমিশন বলেছে, কমিশন ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করেছে। নোটিস পাঠিয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে। হাই কোর্ট জানিয়েছে, কোনও অভিযোগ এলে নির্বাচন কমিশনের উপরে নির্দিষ্ট মতামত চাপিয়ে দেওয়া আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়। দিল্লি হাই কোর্টে মামলাকারী আনন্দ এস জনধালে আগেই মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, উত্তরপ্রদেশে ভোটের প্রচারের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি রামমন্দির নির্মাণ করিয়েছেন, করতারপুর সাহিব করিডরের উন্নতিসাধন করেছেন এবং আফগানিস্তান থেকে গুরু গ্রন্থসাহিবের কপি দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। আজ কংগ্রেস নেতারা কমিশনে গিয়ে মোদী, অমিত শাহ ও যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে ধর্মের জিগির তুলে ভোটপ্রচার ও কংগ্রেসের ইস্তাহার নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনেছেন।
নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য নিয়ে জবাব চাওয়ার একই সময়ে, একই ভাষায় নির্বাচন কমিশন রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের জন্য কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের কাছে জবাব চেয়েছিল। রাহুলের বিরুদ্ধে বিজেপি উত্তর ভারত ও দক্ষিণ ভারতের মধ্যে বিভাজন তৈরির অভিযোগ তুলেছিল। কংগ্রেস এর জবাব দিতে আরও ১৪ দিন সময় চেয়েছে। বিজেপি ও কংগ্রেসকে কমিশন এই অতিরিক্ত সময় দিতে রাজি হয়েছে কি না, তা নিয়ে অবশ্য কমিশন মুখ খোলেনি।