Nomination controversy in TMC

দক্ষিণ কলকাতা-বসিরহাট: দুই তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে বিজেপির দাবি ধোপে টিকল না কমিশনে

বীরভূমের প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল গরমিলের অভিযোগে। বুধবার তৃণমূলের দুই প্রার্থীর মনোনয়নেও গরমিলের অভিযোগ তোলে বিজেপি। কিন্তু তাদের যুক্তি ধোপে টিকল না কমিশনে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৪ ২১:৩৫
Share:

(বাঁ দিকে ) দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়। বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি শেখ নুরুল ইসলাম (ডান দিকে )। —ফাইল চিত্র।

দুই তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় এবং হাজি শেখ নুরুল ইসলামের মনোনয়ন নিয়ে বিজেপির অভিযোগ ধোপে টিকল না নির্বাচন কমিশনে। দিল্লি থেকে কমিশন জানিয়ে দিল, দু’জনের মনোনয়নেই কোনও গরমিল বা ত্রুটি চোখে পড়েনি তাদের। তাই দু’টি মনোনয়নই গৃহীত হয়েছে।

Advertisement

বুধবার সকাল থেকেই তৃণমূলের দুই প্রার্থীর মনোনয়নে ‘গুরুতর গলদ’-এর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিজেপি। অভিযোগ ছিল, যে ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’ জমা না দেওয়ার জন্য বীরভূমে পূর্বঘোষিত বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হয়, সেই একই অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের বসিরহাটের প্রার্থী শেখ নুরুলের বিরুদ্ধেও। দেবাশিসের বিরুদ্ধে নো ডিউজ় সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ ছিল। নুরুলও তা দেননি। অন্য দিকে দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি কলকাতার পুরসভার চেয়ারপার্সন পদে ইস্তফা না দিয়েই লোকসভা ভোটে প্রার্থী পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বুধবার একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের বসিরহাটের প্রার্থী হাজি নুরুলের মনোনয়নে গুরুতর গলদ রয়েছে। যা আইন এবং নির্বাচনী বিধি মেনে হয়নি। তাই আমরা তাঁর মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছি। আর মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন। যা ‘অফিস অফ প্রফিট’-এর আওতাধীন। ফলে ওই পদে ইস্তফা না দিয়ে লোকসভা ভোটের প্রার্থিপদের জন্য মনোনয়ন দেওয়া যায় না।’’ তবে তৃণমূলের দুই প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে রাজ্য বিজেপির এই হঠাৎ সক্রিয়তা দেখে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ এ-ও বলেছিলেন যে, আসলে বীরভূমের ‘বদলা’ নিতেই বসিরহাট এবং দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। কিন্তু দেখা গেল সেই ‘প্রতিশোধ’-এর প্রয়াস মুখ থুবড়ে পড়ল কমিশনের কাছে। প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ পুড়ল বিজেপিরই।

Advertisement

বুধবার এই দুই প্রার্থীরই মনোনয়ন বাতিলের আর্জি জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য বিজেপি। এর মধ্যে নুরুলের মনোনয়ন যে গৃহীত হয়েছে, তা সন্ধ্যায় জানিয়ে দেওয়া হয় কমিশনের তরফে। কেন দেবাশিসের মনোনয়ন বাতিল হল এবং একই অভিযোগে নুরুলের হল না, তার ব্যাখ্যাও দেয় কমিশন।

কমিশন বলে, দেবাশিস তাঁর মনোনয়নে ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’ এর জায়গায় ‘ইয়েস’ লিখেছিলেন। অথচ সার্টিফিকেট দেননি। কিন্তু নুরুল তাঁর ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’ প্রসঙ্গে মনোনয়নপত্রে লিখেছিলেন ‘নট অ্যাপ্লিকেবল’। তাই সেই সংক্রান্ত সার্টিফিকেট জমা না দিলেও স্ক্রুটিনিতে কোনও গরমিল ধরা পড়েনি।

অন্য দিকে, মালা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে আগেই জানিয়েছিলেন তিনি কোনও আইন-বহির্ভূত কাজ করেননি। এ-ও বলেছিলেন যে, তিনি ২০১৯ সাল থেকে সাংসদ। পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন। সন্ধ্যায় মালার মনোনয়নও গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে কমিশন বলে, ওই মনোনয়নে কোনও ত্রুটি নজরে পড়েনি তাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement