—প্রতীকী ছবি।
কয়েক মাস পরে লোকসভা ভোট এবং তার পরেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে এ বার কংগ্রেস ভাঙার কৌশল নিয়েছে এনডিএ। মুম্বইয়ের সব ক’টি আসন নিজেদের ঝুলিতে নেওয়ার চেষ্টায় কংগ্রেসের স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকে নিজেদের দলে টানতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। সূত্রের খবর, আগামী সোমবারই মুম্বই কংগ্রেসের নয় জন প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস ও প্রদেশ বিজেপি সভাপতি আশিস সেলারের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন তাঁরা।
গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এর মধ্যে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিলিন্দ দেওরা যোগ দিয়েছেন একনাথ শিন্দের শিবসেনায়। কংগ্রেস ছেড়ে আর এক শীর্ষস্থানীয় নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিক অজিত পওয়ারের এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে মুম্বইয়ের সবক’টি আসনেই জয়ী হয়েছিল এনডিএ। তবে সেবার অবিভক্ত শিবসেনার সঙ্গে জোট হয়েছিল বিজেপির। কিন্তু এর পর শিবসেনা ও এনসিপির মতো দলে ভাঙনের মধ্যে দিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিজেপি ও বিরোধী— দুই শিবিরের সমীকরণেই বদল এসেছে বিরাট ভাবে। এই পরিস্থিতিতে একটি টিভি চ্যানেলের প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা এনডিএ শিবিরকে চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে, মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি তথা এনডিএ জোট ২২টির মতো আসন পেতে পারে। বাকি ২৬টি আসন কংগ্রেস, শরদ পওয়ারের এনসিপি ও কংগ্রেসের দিকে যেতে পারে। এর মধ্যে কংগ্রেস একাই জিততে পারে ১২টি আসন।
সমীক্ষার এই ফলাফল চাপে ফেলেছে বিজেপিকে। তাই কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিজেদের শিবিরে জায়গা করে দিয়ে সুবিধাজনক অঙ্কে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।