পান্ডুয়ার জি টি রোডের কালনা মোড়ে অবরোধ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। নিজস্ব চিত্র।
হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে, শনিবার রাতে ত্রিবেণীর একটি কালীপুজো দেখে ফেরার পথে সেখানকার কালীতলায় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভের ঘটনায় এক বিজেপি কর্মী বাঁশবেড়িয়ার উপ-পুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। শিল্পী অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার দু’জায়গায় অবরোধ করে বিজেপি।
শনিবারের ঘটনায় তৃণমূল সমর্থকেরাই লকেটকে দেখে স্লোগান দিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশও। রবিবার, শাসক শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে জেলার ডিসিপি (শৃঙ্খলা এবং প্রশিক্ষণ) প্রিয়ব্রত বক্সী এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, শনিবার রাতে বলাগড় থেকে ফেরার পথে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ওই কালীপুজো মণ্ডপে যান লকেট। পুজো দিয়ে ফেরার সময়ে কিছু তৃণমূল সমর্থক স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। পাল্টা স্লোগান দেন বিজেপি-সমর্থকেরাও। তবে, প্রার্থী গাড়ি থেকে নামেননি, তাই তাঁর চোট-আঘাত লাগার প্রশ্নই নেই। তাঁর গাড়িও অক্ষত ছিল।
এ নিয়ে তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘তৃণমূল বিক্ষোভ দেখিয়েছে, পুলিশ বলছে! আচ্ছা খোঁজ নিয়ে বলছি।’’ এরপরে আর ফোন ধরেননি তিনি।
লকেটের দাবি, একজন লোকসভার প্রার্থীর উপর এ ভাবে হামলা এ রাজ্যেই হতে পারে। শিল্পীর দাবি, তিনিও সে সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দেখে তিনিই লকেটের গাড়িকে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করেন। লকেটের নিরাপত্তারক্ষীর বন্দুকে তাঁর কনুইতে আঘাত লাগে। তিনি বলেন, ‘‘জনপ্রতিনিধিকে না পেলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ প্রকাশ স্বাভাবিক। ভোটের সময় প্রচার পেতেই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে বিজেপি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে আইনি পথে যেতে বাধ্য হব।’’
রবিবার সকালে মগরা থানার সামনে গেরুয়া বাহিনীর আধ ঘণ্টার অবরোধের জেরে সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। নেতৃত্বে ছিলেন দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার ও নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক সুবীর নাগ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। পুলিশ সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। বিকেল ৫টা নাগাদ পান্ডুয়া-কালনা রোড অবরোধ করা হয়।