বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত সিন্হা। —ফাইল ছবি।
একে ভোটদানের হার কম হওয়ায় প্রথম দফা থেকেই উদ্বেগে বিজেপি শিবির। তার মধ্যে গোটা নির্বাচন পর্বে নিষ্ক্রিয় থাকা এবং শেষ অবধি ভোটের দিনে নিজেই ভোট না দিয়ে দলের রোষে পড়লেন বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত সিন্হা। তাঁকে শো কজ় নোটিস পাঠাল বিজেপি।
টানা গত দশ বছর হাজারিবাগের সাংসদ ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিন্হার ছেলে জয়ন্ত। ২০১৪ থেকে ’১৯ তিনি নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন। কিন্তু গত মার্চে জয়ন্ত দলকে জানিয়েছিলেন, তিনি এ বার সক্রিয় ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে চান না। এই মর্মে তিনি এক্স-হ্যান্ডলে একটি পোস্টও করেন। তখন জল্পনা হচ্ছিল, বিজেপি কি তা হলে হাজরিবাগ থেকে জয়ন্তের ছেলে আরিশকে প্রার্থী করবে? কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই আসনে মণীশ জয়সওয়ালকে প্রার্থী করে বিজেপি। দিন কয়েক আগে শোনা যায়, কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন আরিশ। তবে পরিবারের তরফে এখনও এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
গত কাল ঝাড়খণ্ডের এই আসনে ভোট হয়েছে। জানা যায়, ভোট দেননি জয়ন্ত। তার পরেই বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের পক্ষ থেকে শো কজ় নোটিস পাঠানো হয় জয়ন্তকে। নোটিসে বলা হয়েছে, ‘‘মণীশ জয়সওয়ালকে প্রার্থী করার পর থেকেই আপনি দলের সাংগঠনিক কাজ এবং দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এমনকি, আপনি আপনার ভোট দেওয়ার প্রয়োজনও বোধ করেননি। আপনার আচরণের ফলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।’’
দলীয় সূত্রের খবর, জয়ন্তকে উত্তর দেওয়ার জন্য দু’দিন সময় দেওয়া হয়েছে। উত্তর পাওয়ার পরে দল সিদ্ধান্ত নেবে, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে কি না। তবে অনেকেই মনে করছেন, মোদী-অমিত শাহরা বিজেপির নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়ার পরে যে ভাবে একদা বাজপেয়ী-আডবাণীর ঘনিষ্ঠ নেতাদের কোণঠাসা করেছেন, তারই পরের ধাপে তাঁদের সন্তানদেরও উপেক্ষা করতে শুরু করেছেন। যশবন্ত-পুত্র জয়ন্তও সেই উপেক্ষার শিকার হয়েই ভোটে সক্রিয় না থাকার কথা আগেভাগে দলকে জানিয়েছিলেন। একটি সূত্রের মতে, শত্রুঘ্ন সিন্হা বা কীর্তি আজ়াদের মতো তিনিও বিজেপি ছাড়লে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।