—প্রতীকী চিত্র।
মনোনয়ন জমা দিতে হাতে মাত্র দু’দিন। সোমবার হোলির ছুটি। পড়ে রইল মঙ্গলবার এবং বুধবার। সাধারণত কোনও দলই শেষ দিনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঝুঁকি নেয় না। কিন্তু বিজেপির জলপাইগুড়ি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হল না শনিবারেও। এ রাজ্যে বিজেপি যে আসনগুলিতে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি, তার মধ্যে একমাত্র জলপাইগুড়িতেই প্রথম দফায় ভোট রয়েছে। যার মনোনয়ন শেষ হচ্ছে আগামী বুধবার। বিজেপি কর্মীদের একাংশের দাবি, কোনও কারণে নতুন কারও নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হলে, তাঁর মনোনয়নের সব নথি সময়ের মধ্যে জোগাড় করা সম্ভব কি না তা নিয়েই ‘সংশয়’ রয়েছে।
যদিও বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, দলের নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই বিদায়ী সাংসদ জয়ন্ত রায়কে মনোনয়নের নথি তৈরি করতে বলে রেখেছেন। সেই মতো হলফনামা থেকে শুরু
করে জাতিগত শংসাপত্রের নথি প্রস্তুত করে রেখেছেন বিদায়ী সাংসদ, খোলা হয়েছে নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও।
বিজেপির এক জেলা নেতার কথায়, “এখনও প্রার্থী ঘোষণা না করায় পরিস্থিতি ধীরে ধীরে জটিল হয়ে পড়ছে। দলের নেতারা কী ভুলে গেলেন, যে প্রথম দফায় জলপাইগুড়িতেও ভোট রয়েছে?” তৃণমূল এবং বামেরা মিছিল করে গত শুক্রবার মনোনয়ন জমা দিয়েছে। বিজেপির যা পরিস্থিতি তাতে মনোনয়নের মিছিল করাও সম্ভব হবে না বলে নেতাদের আশঙ্কা। শেষ দিনে মনোনয়ন এড়াতে আগামী মঙ্গলবার বিজেপি মনোনয়ন দেবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে দিন উত্তরবঙ্গে জলরঙের খেলা হয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে দোকান-বাজার বন্ধ থাকে। সে দিন মিছিল করে মনোনয়ন দিতে গেলে এক দিকে যেমন তেমন সংখ্যক কর্মী-সমর্থক পাওয়া যাবে না বলে দাবি, অন্য দিকে মিছিল করলে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কাও থাকবে। সে কারণে বিজেপির এক পক্ষের দাবি, মিছিল না করে শুধু কয়েক জন নেতা গিয়ে প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেবেন মঙ্গলবার। মনোনয়নের মিছিল ভাল হলে, প্রচারে খানিকটা এগিয়ে থাকা যায় অথবা আত্মবিশ্বাসী হওয়া যায় বলে দাবি কর্মীদের। কিন্তু প্রার্থী ঘোষণার গেরোয় তা-ও সম্ভব হবে না বলে দাবি। জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী শনিবার বলেন, “নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”