—প্রতীকী ছবি।
রায়গঞ্জ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পালকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের প্রচারে বেরিয়ে আহ্বান জানানো হচ্ছে— ‘বিজেপি প্রার্থী পছন্দ না হলে ঘরের ছেলে ভিক্টরকে (কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রমজ) ভোট দেবেন’। বিজেপির রাজ্য সংখ্যালঘু মোর্চার সম্পাদক গোলাম সরবরের এমনই ভিডিয়ো সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বলে সূত্রের দাবি। গোলাম সরবর তৃণমূলের মন্ত্রী গোলাম রব্বানির ভাই। গত বিধানসভা ভোটে রব্বানির বিরুদ্ধে তিনি বিজেপি প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সরবরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি-কংগ্রেস যোগসাজশের অভিযোগ করে তৃণমূল।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে গোয়ালপোখোরে হুডখোলা জিপে প্রচার করেন সরবর। সূত্রের দাবি, সেই সময় মাইকে সরবরকে বলতে শোনা যায়— ‘‘বিজেপির প্রার্থী পছন্দ না হলে ঘরের ছেলে ভিক্টরকে ভোট দেবেন, তবু তৃণমূলকে ভোট দেবেন না।’’ বিজেপি জেলা সম্পাদক তাপস বিশ্বাস বলেন, ‘‘দল এই ধরনের বক্তব্যে অনুমোদন দেয় না। উনি কেন এমন বলেছেন, কোন পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব খতিয়ে দেখছেন।’’
রাজনৈতিক মহলের অভিমত, রায়গঞ্জ কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সংখ্যালঘু ভোট বিজেপির দিকে না ঝোঁকার সম্ভাবনাই বেশি। সংখ্যালঘু ভোটের দিকে নজর কংগ্রেসেরও। কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রমজ যত বেশি সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাবেন, তত বিজেপির লাভ এবং তৃণমূলের ক্ষতি। সেই অঙ্ক ধরেই প্রচারে সরবর ভিক্টরকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলে অনেকে মনে করছেন। ভিক্টরের বক্তব্য, ‘‘ভিডিয়োয় কী রয়েছে, আমার জানা নেই। না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে বিজেপি বা তৃণমূলের দয়া লাগবে না। ওই দুই দলের উপরই মানুষ তিতিবিরক্ত। মানুষ এমনিতেই কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছেন।’’ গোলাম সরবরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিরোধীরা আংশিক ভিডিয়ো ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করছেন দাবি করে সরবরের অনুগামীদের বক্তব্য, বিজেপি প্রার্থীকে হেয় করতে তিনি যে এ সব বলেননি, তা ভিডিয়ো দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপির গোপন যোগসাজশ প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। কংগ্রেস আর বিজেপি বোঝাপড়ার দাবি শুরু থেকেই আমরা করে আসছি। বিজেপি নেতাদের ভিক্টরের হয়ে ভোট চাওয়া সেটাই এ দিন প্রমাণ করছে।’’