গুপ্তিপাড়ায় প্রচারে রচনা। ছবি: বিশ্বজিৎ মণ্ডল।
গঙ্গার পার ভাঙছে বলাগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। ভোটে জিতলে লোকসভায় প্রথমেই এই সমস্যার কথা তুলবেন বলে আশ্বাস দিলেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকেও একহাত নেন তিনি। তাঁকে পাল্টা শুনিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার গুপ্তিপাড়ায় ভোটপ্রচারে এসে গঙ্গাভাঙন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে রচনা বলেন, ‘‘দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে কথা বলে সকলকে নিয়ে আলোচনা করা হবে। সমস্যা সমাধানে কাজ করব। আমি জিতলে সংসদে গিয়ে প্রথমেই বলাগড়ের গঙ্গার ভাঙন নিয়ে কথা বলব।’’
বলাগড় ব্লকেরই চরকৃষ্ণবাটীতে সোলেমান বাবার আশ্রমে এ দিন পুজো দিতে এসে রচনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে লকেট বলেন, ‘‘উনি (রচনা) কিছুই জানেন না। গঙ্গাভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সরকার প্রচুর টাকা রাজ্য সরকারকে দিয়েছিল। সেই টাকা রাজ্য খরচ করেননি। ওঁকে (রচনা) জিজ্ঞাসা করুন, কত টাকা এসেছিল। রাজ্য সরকার খরচ করেনি কেন?’’ এ নিয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উনি (লকেট) মিথ্যা বলছেন। গঙ্গাভাঙনে কত টাকা দিয়েছেন, প্রমাণ দেখান।’’
রচনার বক্তব্য, বাংলার তৃণমূল সাংসদেরা লোকসভায় এখানকার সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কেন্দ্র গুরুত্ব দেয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘দিদি (মমতা) আছেন বলে রাজ্যটা বেঁচে আছে। নিজের পকেট থেকে, নিজের ভান্ডার থেকে টাকা খরচ করেই চলেছেন। আর কত দিন করবেন! এক দিন না এক দিন ভান্ডার শূন্য হয়ে যাবে। ১০০ দিনের টাকা দিদিই দিচ্ছেন। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। আমরা যতই আওয়াজ তুলি না কেন, ওই আওয়াজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা শুনতে চাইছেন না।’’
গুপ্তিপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দশা নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিস্তর। এর দায়ও কার্যত লকেটের উপরে চাপিয়ে রচনা বলেন, ‘‘পাঁচ বছরে কিছু হয়নি। আমি আসার পরে সর্বক্ষণ চিকিৎসক বসবে।’’
বিজেপি নেতা স্বপন পালের প্রতিক্রিয়া, ‘‘পাঁচ কেন, গত ১২ বছরে বাংলায় কোনও কাজ হয়নি। তৃণমূলের সরকার অকাজে টাকা উড়িয়েছে। তাই হাসপাতালের ওই দশা। মানুষকে ভুল বোঝানো ছাড়া ওদের রাস্তা নেই। বিজেপি জিতলেই মানুষ সমস্ত পরিষেবা পাবেন।’’