লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির হয়ে দেওয়াল লিখনে কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী জন বার্লা আলিপুরদুয়ার শহরে।
প্রার্থীর নাম ছাড়াই আলিপুরদুয়ারে দলের লোকসভা নির্বাচনের দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। যদিও তাঁকে এ বারের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে কি না, সে প্রশ্নে আলিপুরদুয়ারের গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই চলছে চর্চা।
বিজেপি সূত্রের খবর, বার্লার পাশাপাশি, আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে আরও দু’টি নাম বাছাই করা হচ্ছে। সে দু’টি নামের মধ্যে দলের জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গার নাম থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এ নিয়ে বার্লার বক্তব্য, “দল যাঁকেই প্রার্থী করুক, বিজেপির হয়ে কাজ করে যাব।” আলিপুরদুয়ার শহরের কলেজপাড়া এলাকায় এ দিন দুপুরে লোকসভা ভোটের দিকে নজর রেখে দলের জন্য দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ বার্লা। সে দেওয়াল লিখনে অবশ্য প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম লেখেননি। তা হলে কি আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে এ বার বিজেপির প্রার্থী বদলও হতে পারে? বার্লার উত্তর, “কে প্রার্থী হবেন, কে হবেন না, সেটা দল ঠিক করবে। এটা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। দল আমাকে প্রার্থী না করলে, বিজেপির হয়ে কাজ করব। আমাদের লক্ষ্য, চারশোর উপরে আসনে জয়ী হয় ফের মোদী সরকারের প্রতিষ্ঠা।’’
তাঁরও প্রার্থী হওয়ার চর্চা নিয়ে মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘‘আমি বিজেপির এক জন সক্রিয় কর্মী হিসেবে দলের কাজ করে চলেছি। প্রার্থী কে হবেন, সেটা কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবেন। দল যখন জানতে চাইবে, তখন আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র থেকে তিনটি নাম প্রস্তাব আকারে পাঠানো হবে। তার পরে, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বই নেবেন।’’
এ দিন পুরসভার হলঘরে দেশীয় একটি সংস্থার উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে পাঁচশো সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়। বার্লা, মনোজ টিগ্গারা সেই সেলাই মেশিন মহিলাদের হাতে তুলে দেন। কিন্তু ওই যন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জন বার্লার ছবি থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যসভার সদস্য প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে নিজের সাংসদ তহবিলের অর্থে একটা টিউবওয়েল পর্যন্ত লাগাননি। কিন্তু এখন সরকারের টাকার অপব্যবহার করতে এ ধরনের কর্মসূচি করছেন।’’ বার্লা পাল্টা বলেন, “উন্নয়নমূলক কাজ করতে জেলাশাসকের সঙ্গে বার বার চেষ্টা করেও দেখা করতে পারিনি। তার পরেও অনেক কাজ করেছি।”