—প্রতীকী চিত্র।
শেষ মুহূর্তে বড় কোনও রদবদল না হলে বিদায়ী সাংসদ জয়ন্ত রায়কে ফের জলপাইগুড়ি আসন থেকে দল প্রার্থী করতে চলেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে দিল্লি, দাবি জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। গত রবিবার পাকাপাকি ভাবে জেলা বিজেপিকে এই ’খবর’ জানিয়ে দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রের দাবি। যদিও এর পাল্টা দাবিও রয়েছে। জয়ন্তের পরিবর্তে শেষ মুহূর্তে অন্য কাউকে বেছে নিতে পারে দল, এমন দাবি আর একটি শিবিরের। প্রথমে সঙ্ঘেরও একাংশের আপত্তি ছিল জয়ন্তের নাম নিয়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত রাজ্য বিজেপিরই এক নেতার মধ্যস্থতায় সঙ্ঘ বিদায়ী সাংসদকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে ‘নিমরাজি’ হয় বলে দাবি। রাজ্য বিজেপির ওই নেতার যুক্তি ছিল, গত লোকসভা ভোটের পরে রাজ্য এবং জলপাইগুড়ি জেলার রাজনীতির সমীকরণ বদলেছে। বিশেষত, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে হারতে হয়েছে বিজেপিকে। এই পরিস্থিতিতে নতুন মুখ নিয়ে এলে আরও অনেকটা পিছিয়ে থেকে শুরু করতে হবে।
প্রার্থীর নাম জানানোর সঙ্গেই দলের তরফে জানানো হয়েছিল, সোমবারই দল প্রার্থীদের নাম জানিয়ে দেবে। যদিও তা হয়নি। ফলে, প্রার্থী নিয়ে সংশয় কাটছে না দলে। বিজেপিরই একাংশের দাবি, রাজ্যের এক শীর্ষ নেতার আপত্তিতে জয়ন্তের নাম নিয়ে ফয়সালা হয়নি। বিজেপির একটি অংশের দাবি, জয়ন্ত নন, প্রার্থী হবেন অন্য কেউ। সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছেন এক নিহত জওয়ানের স্ত্রী, আইনজীবী, অধ্যাপক-সহ এক বিধায়কও। জয়ন্ত অবশ্য প্রচার চালিয়েই যাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছেন। নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। প্রথমে মন্তব্য করলেও আপাতত তিনি প্রার্থিপদ নিয়ে চুপ। জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “প্রার্থীর নাম জাতীয় নেতৃত্ব জানাবেন। আমাদের প্রচার শুরু করতে দল নির্দেশ দিয়েছে, আমরা শুরু করেছি।’’
তৃণমূল প্রচারে নেমে পড়েছে। লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় ‘জনসংযোগ’ শুরু করে দিয়েছেন। চা বাগান থেকে শুরু করে জল্পেশ মেলায় ঘুরছেন। অন্য দিকে, বিজেপির জেলা পার্টি অফিসের দরজা বেশিরভাগ সময়েই বন্ধ। এক-দু’জন কর্মী ছাড়া, পার্টি অফিসে দেখা মিলছে না কারও। দলের একাধিক নেতা মানছেন, “যতদিন যাচ্ছে, কর্মীদের মনোবল তত কমছে।”