(বাঁ দিকে) ঈশ্বরাপ্পা এবং বিষ্ণুপ্রসাদ। — ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘অনুরোধ’ অগ্রাহ্য করে কর্নাটকের শিমোগা লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্তে অনড় থাকার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। সেই ‘অপরাধে’ সে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পাকে সোমবার দল থেকে বহিষ্কার করা হল। সোমবার বিজেপির তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পৃথক রাজ্যের দাবি তুলে দলের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। কিন্তু এখনও তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক স্তরে কোনও পদক্ষেপ করেনি বিজেপি। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, লোকসভা ভোটপর্ব মেটার পরে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিষ্ণুপ্রসাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
২০০৯ সাল থেকে বিজেপির দখলে থাকা শিমোগায় এ বার বিজেপি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার পুত্র তথা বিদায়ী সাংসদ বিওয়াই রাঘবেন্দ্রকে আবার প্রার্থী করেছে। ঘটনাচক্রে, কর্নাটক বিজেপির সভাপতি পদে এখন রয়েছেন ইয়েদুরাপ্পার আর এক পুত্র বিজয়েন্দ্র। তিনিই সোমবার ঈশ্বরাপ্পাকে ছ’বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
ঈশ্বারাপ্পার দাবি, ২০২২ সালে কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের সময় তৎকালীন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, হাভেরী আসনটি তাঁর পুত্র কান্তেশকে ছাড়া হবে। কিন্তু গত মাসে প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পরে দেখা যায়, ওই আসনে পদ্ম চিহ্নে লড়বেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। তার পরেই ‘বিদ্রোহী’ হন ঈশ্বরাপ্পা।
এমনকি, গত ১৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্নাটক সফরে এলেও সভায় দেখা যায়নি তাঁকে। এপ্রিলের গোড়ায় ইশ্বরাপ্পা জানিয়েছিলেন, শাহ তাঁকে ফোন করে নির্দল হিসাবে না-লড়ার বার্তা দিলেও তিনি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। বিজেপি সূত্রের খবর, এর পরে দিল্লিতে গিয়ে শাহের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ইশ্বরাপ্পা।