গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিধানসভার পরে এ বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লোকসভা আসনে জেতার নজির তৈরি করল বিজেপি। অরুণাচল প্রদেশের পরে গুজরাতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে সুরাত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত হয়ে গেল বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালালের।
রবিবার দক্ষিণ গুজরাতের ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভনির মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল। সোমবার ওই আসনের বাকি আট জন বিরোধী প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই অরুণাচলের ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে সাতটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিয়েছে বিজেপি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে লোকসভার সঙ্গেই বিধানসভা ভোট হয়েছে গত ১৯ এপ্রিল।
আগামী ৭ মে গুজরাতের ২৬টি আসনেই এক দফায় ভোট হওয়ার কথা। সোমবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। অন্য আট জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় দালালের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। তার আগে মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকদের সইয়ে গরমিল থাকার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশের মনোনয়ন বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং অফিসার।
সাম্প্রতিক সময়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লোকসভা আসন জয়ের উদাহরণ নেই ভারতীয় রাজনীতিতে। ১৯৮০ সালের লোকসভা ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর লোকসভায় জয়ী হয়েছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রার্থী ফারুক আবদুল্লা। ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশের কনৌজ লোকসভা উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব। সে বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টির জয়ের পরে ডিম্পলের স্বামী অখিলেশ যাদব মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরে কনৌজের সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন।
দালালের জয়ে উল্লসিত গুজরাত বিজেপির সভাপতি সিআর পাটিল সোমবার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘সুরাত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রথম ‘পদ্ম’ উপহার দিল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য সুরাত লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মুকেশভাই দালালকে অভিনন্দন।”