—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে কয়েকদিন আগে। তারও আগে তৃণমূল, সিপিএম ও বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে। দেখা গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রথম দফার ওই তালিকায় তমলুক কেন্দ্রে বিজেপি তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। ফলে তৃণমূল এবং সিপিএম প্রার্থীরা জোর প্রচার শুরু করলেও গেরুয়া শিবিরকে সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে দলীয় বৈঠক এবং কর্মী সভাতেই।
গত ১০ মার্চ কলকাতার ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভা থেকে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল। এর পরদিন থেকেই দেবাংশু তমলুকে এসে প্রচার শুরু করেন। তমলুক, পূর্ব পাঁশকুড়া, নন্দীগ্রাম, নন্দকুমার, মহিষাদল, ময়না ও হলদিয়া বিধানসভা এলাকায় ইতিমধ্যেই তাঁর মিছিল ও সভা হয়েছে। মঙ্গলবারও সারাদিন মহিষাদল ব্লকে ভোট প্রচার করছেন তিনি। সকালে গোপাল জিউ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন মহিষাদলের তৃণমূলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। মহিষাদলের বাবুরহাটে রোড শো, পথসভা, গড়কমলপুরে দেবাংশু জনসংযোগ করেন। পরে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী ও প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। বিকেলে গঙ্গামোড়ে পথসভাও করে প্রচার চালানো হয়। অন্যদিকে, সিপিএম প্রার্থী সায়নও নাম ঘোষণার পরেই তমলুকে প্রচার চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তমলুক, নন্দীগ্রাম, হলদিয়া বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় মিছিল ও সভা করে প্রচার চালিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি নন্দকুমার বিধানসভার ব্যবত্তারহাট বাজারে প্রচার শুরু করেন। এরপর খঞ্চি বাজার এলাকায় প্রচার চালান। বিকেলে নন্দকুমারের পানসিতি-কালীরহাট বাজার এলাকায় মিছিল করে প্রচার চালান।
অন্য দলগুলি যখন জোর প্রচার চালাচ্ছে, তখন পিছিয়ে বিজেপি। বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে যে ২০টি কেন্দ্রের যে নাম ঘোষণা হয়েছিল, তাতে জেলার কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে সৌমেন্দু অধিকারীর নাম রয়েছে। কিন্তু বাদ পড়েছিল তমলুক। সেখানে সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলে চর্চা হচ্ছে। বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে অভিজিৎ তমলুকে তিনবার এসেছেন। নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না হওয়ায় তাঁকে আপাতত দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভা ও বৈঠকেই সীমাবব্ধ থাকতে হচ্ছে। দেওয়াল লিখনে দলের ‘পদ্ম’ প্রতীক আঁকা থাকলেও প্রার্থীর নামের স্থান ফাঁকা থাকছে। এতে দলের কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়ছেন না তো? বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি আনন্দময় অধিকারী বলছেন, ‘‘প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় আপাতত প্রকাশ্য প্রচার কর্মসূচি হচ্ছে না। তবে দলের নির্দেশিকা মেনে সমস্ত বুথে সাংগঠনিক বৈঠক হচ্ছে। এক-দু’দিনের মধ্যে প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরেই জোরকদমে প্রচার শুরু করা হবে।’’