—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের ভয়ে কাটোয়া শহরের কোনও বাসিন্দা বিজেপিকে অফিস করার জন্য বাড়ি ভাড়া দিতে চাইছেন না, অভিযোগ করলেন বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। যদিও অভিযোগ মানতে চায়নি তৃণমূল।
দলের কাজ পরিচালনার জন্য লোকসভা ভোটের আগে প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় একটি করে কার্যালয় খোলার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। অফিসগুলি শহর বা জনবহুল এলাকায় করতে বলা হয়েছে। জেলা বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের ভয়ে কাটোয়া শহরের কেউ তাদের বাড়ি ভাড়া দিতে চাইছেন না। আগে শহরের কাছারি রোডে মার্কেটের তিন তলায় একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাটে দলের জেলা কার্যালয় খোলা হয়েছিল। গত বিধানসভা ভোটের পরে সেটির মালিক চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাজি না হওয়ায় সেটি বন্ধ করে দেয় বিজেপি। তার পরে, জেলা কার্যালয় স্থানান্তর করা হয় কাটোয়ার মণ্ডলহাট গ্রামে এক দলীয় নেত্রীর বাড়িতে। এত দিন সেখান থেকেই কাজ চলছিল। শুক্রবার ওই জেলা কার্যালয়টি স্থানান্তর করা হয় পূর্বস্থলীতে।
বিজেপি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলহাটের কার্যালয়টি দলের কাটোয়া বিধানসভা কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হবে। দলের জেলা সভাপতি (কাটোয়া সাংগঠনিক) গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘আমরা কাটোয়া শহরে কার্যালয় খোলার জন্য অনেকের কাছে বাড়ি ভাড়া চেয়েছিলাম। কিন্তু, তৃণমূলের ভয়ে বাড়ির মালিকেরা আমাদের ভাড়া দিতে চাইছেন না। অনেকেই বলছেন, বিজেপিকে বাড়ি ভাড়া দিলে তৃণমূলের লোক ঝামেলা করবে। এমন চাপা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৃণমূল তৈরি করে রেখেছে। মণ্ডলহাটের কার্যালয় থেকেই কাটোয়া বিধানসভার কাজ পরিচালিত হবে।’’
জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সাহার দাবি, “আমরা কাউকে বিজেপিকে বাড়ি ভাড়া দিতে বারণ করিনি। আসলে কাটোয়ায় বিজেপির কোনও সংগঠনই নেই। তাই ওরা কার্যালয় খুলতে উদ্যোগী হয় না। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে।” তাঁর আরও দাবি, ‘‘সাহস থাকলে বিজেপি জানাক, আমরা কোন কোন বাসিন্দাকে ভয় দেখিয়ে বাড়ি ভাড়া দিতে নিষেধ করেছি।’’ বিজেপি নেতা গোপালের বক্তব্য, ‘‘নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের নাম প্রকাশ করতে পারি না।’’