অসীম সরকার। —ফাইল চিত্র।
কয়েক দিন আগেই বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পোস্টার সাঁটা হয়েছিল। প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়ায় ইংরেজিতে গান গেয়েছিলেন অসীম। এ বার ‘ফোর পাশ’-কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে পদ্মপ্রার্থী শিখণ্ডী করলেন লালুপ্রসাদ যাদবের পত্নী রাবড়ি দেবীকে। অসীমের কথায়, ‘‘ফোর পাশ রাবড়ি দেবীই তো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।’’
আগে মেমারি ও পূর্বস্থলী-২ ব্লকে অসীমের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। পরে কালনা শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে, আদালত চত্বর-সহ বিভিন্ন জায়গায় লাল, সবুজ এবং হলুদ কালিতে লেখা বেশ কিছু পোস্টার নজরে আসে। অসীমের প্রার্থিপদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সে সবে। একটি পোস্টারেই যেমন লেখা ছিল— ‘ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্ব বর্ধমান জেলার ৩৮ লোকসভা কেন্দ্রের বহিরাগত প্রার্থী অসীম সরকার দূর হটো। তোমায় আমরা মানছি না মানব না।’ পোস্টারের নীচের অংশে লেখা রাষ্ট্রীয়বাদী হিন্দু সংগঠন। দাবি, বিজেপির একটি অংশই অসীমের বিরোধিতা করছেন। এ সবের মাঠে অসীমের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও কাটাছেঁড়া চলেছে। অসীমকে ‘ফোর পাশ’ (চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা) বলে প্রকাশ্যে বিঁধতে দেখা গিয়েছে শাসকদলের নেতাদের।
অসীম অবশ্য নিজের মতো করে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন। স্বল্প দিনের প্রচারে চিরাচরিত প্রথা ভেঙে হেলে-দুলে, কবিগানে বিরোধীদের মিঠেকড়া আক্রমণ করার যে কৌশল অসীম নিয়েছেন, তাতে ঢের বেশি সাড়া মিলেছে বলেও দাবি দলের। বুধবার অসীম বিরোধীদের আক্রমণ নিয়ে বলেন, ‘‘বিহারে অনেক ফোর পাশ মন্ত্রী রয়েছে। যাঁরা আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষ করছেন, তাঁরা এ সব জানেন কি? আসলে যাঁরা আমার সমালোচনা করছেন, তাঁরা ভারতের সংবিধানটাও মনে হয় পড়েননি।’’ অসীম কখনওই নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা লুকোননি। বলেন, “হ্যাঁ, আমি ফোর পাশ সার্টিফিকেট দিয়েই বিধায়ক হয়েছি। তবে এটাও সবার জানা দরকার, এক জন কবি হতে গেলে শুধুমাত্র আক্ষরিক বিদ্যা থাকলেই হয় না। এর জন্যে আমাকে মাস্টার ডিগ্রি কোর্সের ফিলোজ়ফি ছাড়াও গীতা, মহাভারত, বেদ, পুরাণ, কোরান, ত্রিপিটক সবই পড়তে হয়েছে। আর পড়াশুনা করা আছে বলেই আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন যেতে পেরেছি, তেমনই লোকসভায় যাওয়ার জন্যেও তৈরি হয়েছি।’’