—প্রতীকী ছবি।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারের অভিযোগ তুলে আজ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। অপর পক্ষে, কংগ্রেস কমিশনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গে অভিযোগ জানিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচন নিয়ে একটি সমীক্ষার ফলাফলের স্ক্রিন শট সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দাবি করা হয় ওই সমীক্ষাটি নাকি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ(আরএসএস)-এর। তাতে দাবি করা হয়, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দেশে ২১৪টি আসন পেতে চলেছে। আজ বিজেপির তরফে এ বিষয়ে কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে বলা হয়, গোটাটাই কংগ্রেসের কারসাজি। জনমানসে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আজ কমিশনে অভিযোগ জানানোর পরে বিজেপি নেতা অরুণ সিংহ বলেন, ‘‘বিষয়টির পিছনে রয়েছে কংগ্রেস সেবা দল। যারা আরএসএস নামে একটি ভুয়ো সংগঠন তৈরি করেছিল। যদিও হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার ওই ভুয়ো সংস্থাটি খারিজ করে দেন। কিন্তু নির্বাচনের সময়ে ওই সংস্থা ফের সক্রিয় হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার চালাচ্ছে।’’
বিজেপির বক্তব্য, আরএসএসের নামে প্রচার চালিয়ে দাবি করা হয়েছে, বিজেপি ম্যাজিক সংখ্যা থেকে অনেক আসন কম পাচ্ছে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করতেই ওই ভুয়ো স্ক্রিনশটটি প্রচার করা হচ্ছে। তাই ওই কংগ্রেস সেবা দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে সম্প্রতি জেলেবন্দি গ্যাংস্টার মুখতার আনসারি মৃত্যুর পরে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব মন্তব্য করেছিলেন কানাডা ও আমেরিকায় এ ধরনের রহস্য মৃত্যুর পিছনে ভারত সরকারের দিকে আঙুল উঠেছে। এ ধরনের অসত্য, অসম্মানজনক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দেশবিরোধী মন্তব্যের জন্য অখিলেশের বিরুদ্ধে এফআইআরের দাবি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
আজ কমিশনে গিয়েছে কংগ্রেসও। মূলত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ জানাতে তারা কমিশনে যায়। আজ সব মিলিয়ে আদর্শ আচরণবিধি ভাঙার ছ’টি অভিযোগ দায়ের করে কংগ্রেস। যার মধ্যে দু’টি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে । আজ কংগ্রেসের পবন খেড়া, সলমন খুরশিদ, মুকুল ওয়াসনিকের মতো শীর্ষ নেতারা কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে অভিযোগ জানান। কংগ্রেসের বক্তব্য, দলের ইস্তাহার প্রসঙ্গে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন যে, ওই ইস্তাহার দেশকে দু’টকরো করার লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ-ও বলেছেন, ওই ইস্তাহারের মাধ্যমে প্রাক্-স্বাধীনতা পর্বের মুসলিম লিগের ভাবনাচিন্তা ছিল তা প্রকাশ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপের জন্য কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।
ইস্তাহারের বিষয়টি ছাড়াও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘বিকশিত ভারত @২০৪৭: ভয়েস অব ইউথ ক্যাম্পেন’-এর প্রচারে প্রধানমন্ত্রীর দৈর্ঘ্যের মাপের হোডিং ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। তাদের নেতৃত্বের মতে, যা আদর্শ আচরণবিরোধী। আচরণবিধি বলবৎ থাকার সময়ে কোনও সরকারি ভবনে কোনও মন্ত্রী বা রাজনৈতিক নেতাদের ছবি লাগানো যায় না। এ ছাড়া অন্য আর একটি অভিযোগে কংগ্রেস জানিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর নিজের সম্পত্তির বিষয়ে কমিশনের কাছে অসত্য হলফনামা দিয়েছেন। যা জনপ্রতিনিনিধি আইন বিরোধী।