অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
একশো নব্বইয়ের মধ্যে একশো পার!
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দুই দফায় ভোটগ্রহণের পরে আজ অমিত শাহ ভবিষ্যৎবাণী করলেন, বিজেপি ও তার শরিক দলগুলি প্রথম দুই দফার ভোটে ১০০-র থেকে অনেক বেশি আসনে জিতছে। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, উত্তরাখণ্ড-সহ সব রাজ্যে বিজেপি সাফল্য পেতে চলেছে। কর্নাটক, কেরল, তামিলনাড়ুতেও বিজেপি ভাল সাড়া পেয়েছে। অমিত শাহের দাবি, বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ ‘চারশো পার’-এর লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।
কংগ্রেস তথা বিরোধী শিবির অবশ্য দাবি করছে, অমিত শাহ এ সব বলে বিজেপি কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে চাইছেন। আদতে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের প্রচারের সুরেই স্পষ্ট, তাঁরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার ব্যাখ্যা, এত দিন নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে হয়ে কী কী কাজ করবেন, তা নিয়ে কথা বলছিলেন। এখন তিনি বলছেন, ইন্ডিয়া জোট সরকারে এলে পাঁচ বছরে পাঁচ জন প্রধানমন্ত্রী হবেন! অমিত শাহ প্রশ্ন তুলছেন, যদি ইন্ডিয়া জোট সরকারে আসে, তা হলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন! অর্থাৎ ইন্ডিয়া জোটের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা খোদ মোদী-শাহের মুখেই শোনা যাচ্ছে। তৃণমূল শিবির মনে করিয়ে দিয়েছে, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে প্রথম কয়েক দফার ভোটের পরেও শাহ এমন কত আসনে বিজেপি জিতবে, সেই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। তার কোনওটাই মেলেনি।
প্রথম দফায় ভোটগ্রহণের পরেই নরেন্দ্র মোদী ধর্মীয় মেরুকরণের কৌশল নিয়েছিলেন। তার পরেই বিরোধীরা দাবি করছিলেন, প্রথম দফায় যে ১০২টি আসনে ভোট পড়েছে, তাতে আশানুরূপ ফল হবে না বুঝেই মোদী মেরুকরণের পথ নিয়েছেন। প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও ৮৮টি আসনে ভোটের কম হার বিজেপি নেতৃত্বকে চিন্তায় ফেলেছিল। কারণ প্রাথমিক হিসেবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, দুই দফাতেই ৬০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। আজ কমিশন জানিয়েছে, চূড়ান্ত হিসেবে প্রথম দুই দফায় ৬৬ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।
শাহ আজ দাবি করেছেন, দক্ষিণের কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটকের সঙ্গে অন্ধ্র, তেলঙ্গানাতেও বিজেপি ভাল ফল করবে। বিরোধী শিবিরের দাবি, দক্ষিণ ভারতে একমাত্র কর্নাটকের ২৮টি আসনে বিজেপির শক্তি রয়েছে। সেখানেও ৭ মে ১৪টি আসনের ভোটে বিজেপির শরিক জেডিএস নেতা প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের খেসারত বিজেপিকে দিতে হবে।