প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। ছবি: পিটিআই।
এনডিতে যোগদানের পরে আজ প্রথম দিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন বিহারের মুখমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মোদী ছাড়া অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। সূত্রের মতে, আগামী ১২ ফেব্রয়ারি বিহার বিধানসভার শক্তি পরীক্ষা হতে চলেছে। মূলত শক্তি পরীক্ষায় এনডিএ জোটের জয় নিশ্চিত করার কৌশল নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি চলতি মাসে বিহারের যে ছ’টি আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন হতে চলছে তার সম্ভব্য প্রার্থী-তালিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিহার বিধানসভায় নীতীশের শক্তি পরীক্ষা। বিজেপি পাশে থাকলেও, জিতেনরাম মাঝির দল হাম-কে একটি মন্ত্রী পদ দেওয়ায় তারা প্রকাশ্যেই নিজেদের ক্ষোভ জানিয়েছে। যার সুযোগ নিয়ে হাম-কে নিজেদের কাছে টানতে উদ্যোগী হয়েছে বিরোধী আরজেডি-কংগ্রেস জোট। ইন্ডিয়া জোটে যোগদান করলে জিতেনরাম মাঝিকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, এনডিএ-র আর এক জোট সঙ্গী চিরাগ পাসোয়ানদের সঙ্গেও সম্পর্ক ভাল নয় নীতীশের। সূত্রের মতে, আজ প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহের সঙ্গে জোট শরিকদের ধরে রাখার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
আজ বৈঠকের পরে নীতীশ কুমার বলেন, ‘‘১৯৯৫ সাল থেকে এনডিএ জোটের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। এর আগে আমি দু’বার জোট ছেড়েছি ঠিকই, কিন্তু এ বার আমি চিরকালের জন্য এনডিএ-তে যোগ দিলাম। আর আমি কোথাও যাব না।’’
নীতীশের বৈঠকে আগে বিহারে বিজেপির দুই উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী ও বিজয় সিন্হা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিহারে রাজ্যসভার ছ’টি আসনে ভোট হতে যাচ্ছে। বিধায়ক সংখ্যার হিসাবে ওই রাজ্যে বিজেপি দু’জন, জেডিইউয়ের এক জন ও মহাজোটের দু’জন প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। ষষ্ঠ আসনটি নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের মতে, নীতীশের সঙ্গেও রাজ্যভার প্রার্থী দেওয়া নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে মোদীর। সূত্রের মতে, বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর পরেই বিহার বিধানসভা ভেঙে দিয়ে লোকসভার সঙ্গে নির্বাচনে চলে যেতে চেয়েছিলেন নীতীশ। কিন্তু বিজেপি সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছে, নির্বাচন যথাসময়েই হবে।