বাইরন বিশ্বাস। —ফাইল চিত্র।
সাগরদিঘি নিয়ে সব সংশয় কাটিয়ে লোকসভা ভোটে দলকে জেতানোর চ্যালেঞ্জ নিলেন বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। সেই সঙ্গে জেলা স্তরে ঘোষিত সমস্ত কমিটি আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হল। ফলে তৃণমূলে সাগরদিঘি নিয়ে জট পাকাল আরও।
দীর্ঘ দিন অসুস্থতার পরে বৃহস্পতিবার সাগরদিঘিতে দলের বৈঠকে যোগ দেন বাইরন। বৈঠকে ছিলেন দলের প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, বিদায়ী সাংসদ ও প্রার্থী খলিলুর রহমান, দলের প্রাক্তন দুই ব্লক সভাপতি সামশুল হোদা, দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও বর্তমান সভাপতি নুরে মেহেবুব আলম সহ সর্ব স্তরের কর্মীরা।
সাগরদিঘিতে দলের লোকসভার ভোট নিয়ে উৎকণ্ঠায় দল ব্লক সভাপতির ক্ষমতা আপাতত স্থগিত রেখে ২২ জনের কমিটি গড়ে ভোট পরিচালনা সিদ্ধান্ত নেয়। গড়া হয় অঞ্চল ওয়াড়ি ৭৭ জনকে নিয়ে কমিটিও। আপাতত সে সব ভেস্তে গিয়েছে এ দিন। তাতেই বেড়েছে জট। ১১টি অঞ্চলে নতুন আহ্বায়ক করা হয়েছে বর্তমান অঞ্চল সভাপতি ও প্রধানকে। শুক্রবার বিকেলে প্রতি অঞ্চলে এক জনকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে বৈঠক ডেকেছেন বাইরন। বাইরন বলেন, ‘‘কমিটি নিয়ে কথা পরে হবে।’’
বাইরন বলেন, “সাগরদিঘি নিয়ে এত সমালোচনা কেন? লোকসভার ৭টি বিধানসভার মধ্যে একটা বিধানসভা সাগরদিঘি কী করতে পারে সেটা মুখে বলব না, ফলাফলে করে দেখাব। দলকে লিড দিয়ে দেখাবই, দেখাবই, দেখাব। কেউ কেউ বলছেন এই বিধায়কের দ্বারা ভোট হবে না। আমি কারও নাম বলছি না। যিনি বলছেন তাঁর নিজের অঞ্চলটা গিয়ে দেখুন কিভাবে লিড দেয়। আমি অহঙ্কার করছি না। কিন্তু বলছি। দলকে লিড দিয়ে দেখিয়ে দেব আমি পারি কি না। আপনারা আমার সঙ্গে থাকুন। কোথায় ভুল হচ্ছে বলুন। মানুষ মাত্রই ভুল হয়। আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখুন। কেউ কাউকে পছন্দ না করতে পারেন, কারও কাউকে অপছন্দ হতে পারে। কিন্তু ভোট ভাল করতে হবে, এটাই মূল কথা।’’