ভোটপ্রচারে অরবিন্দ কেজরীয়ালের স্ত্রী সুনীতা। শনিবার পূর্ব দিল্লি কেন্দ্রে। ছবি: পিটিআই।
ঘরের মাঠে আজ থেকে প্রচারে নামলেন তিহাড় জেলে বন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের স্ত্রী সুনীতা। পূর্ব দিল্লির আম আদমি প্রার্থী কুলদীপ কুমারের সমর্থনে কোন্ডলি এলাকায় শোভাযাত্রা করেন সুনীতা।
আগামী ২৭ মে দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনে নির্বাচন। দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকলেও, গত দু’টি লোকসভা নির্বাচনে রাজধানীতে আসন পায়নি আপ। এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন। একে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার চোরাস্রোত, অন্য দিকে ভোটের ঠিক মুখে অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে জেলে ভরায় দিল্লিবাসীর একাংশের আবেগ দলের সঙ্গে রয়েছে বলেই মনে করছেন আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব। সেই ভাবাবেগকে উস্কে দিতেই অরবিন্দের স্ত্রীকে প্রচারের মূল মুখ করেছে দল।
আজ পূর্ব দিল্লিতে হুড খোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে প্রচার করতে দেখা যায় সুনীতাকে। সঙ্গে ছিলেন প্রার্থী কুলদীপ। কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির পরে দিল্লির রামলীলা ময়দান ও রাঁচীতে ‘ইন্ডিয়া’র সভায় বক্তৃতা দিলেও পথে নেমে আজই প্রথম প্রচারে নামলেন সুনীতা। কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অঙ্গ বলে অভিযোগ করে সুনীতা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল গরিব মানুষের জন্য মহল্লা ক্লিনিক বানিয়েছিলেন, সরকারি স্কুলের ভোলবদল করেছিলেন বলেই আজ তাঁকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। বিজেপি নেতা মনজিন্দর সিরসার পাল্টা বক্তব্য, ‘‘আপ নেতাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, কেজরীওয়ালের নামে চুরির অভিযোগ রয়েছে বলেই তিনি জেলে বন্দি। অরবিন্দের যদি সামান্যতম আত্মসম্মান থাকে, এই মুহূর্তে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত।’’
দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনের মধ্যে চারটিতে লড়ছে আপ। বাকি তিনটিতে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। আগামী কাল পশ্চিম দিল্লিতে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে পথে নামার পরিকল্পনা রয়েছে সুনীতার। আজ শোভাযাত্রায় পথের দু’পাশে যে সংখ্যায় মহিলারা উপস্থিত ছিলেন তাতে উৎসাহিত আপ নেত্রী অতিশী। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি ভেবেছিল, অরবিন্দকে জেলে পুরে দিলেই আপ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এখন দিল্লির মানুষ কেজরীওয়ালের সমর্থনে পথে নেমেছে। ইতিবাচক দিক হল, সুনীতার সমর্থনে বিপুল সংখ্যক মহিলারা আপের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। ভোটের ফলই বলে দেবে অরবিন্দের গ্রেফতারিতে দিল্লির মানুষ কতটা ক্ষুব্ধ।’’