Arvind Kejriwal

আমি সরলেই নিশানায় মমতা-বিজয়ন: কেজরী

আবগারি দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর ইস্তফার দাবিতে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও গোড়া থেকেই ইস্তফা না দেওয়ার প্রশ্নে অনড় কেজরীওয়াল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৪ ০৭:৫৫
Share:

অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।

তিনি ইস্তফা দিলেই, নরেন্দ্র মোদীর পরবর্তী নিশানা হবে পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেরলে পিনারাই বিজয়নের সরকার। ওই দুই নেতাকে গ্রেফতার করে দুই রাজ্যে সরকার ফেলে দেওয়ার ছক কষছে গেরুয়া শিবির। তাই গণতন্ত্রকে বাঁচাতে তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন না বলে আজ ফের জানালেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল।

Advertisement

আবগারি দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর ইস্তফার দাবিতে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও গোড়া থেকেই ইস্তফা না দেওয়ার প্রশ্নে অনড় কেজরীওয়াল। আজ একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, গণতন্ত্রকে রক্ষা করার লক্ষ্যেই তিনি ইস্তফা দেবেন না। কেজরীওয়ালের ব্যাখ্যা, ‘‘প্রধানমন্ত্রী জানেন দিল্লিতে আম আদমি পার্টিকে হারানো অসম্ভব। তাই আমায় ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাতে আমি ইস্তফা দিতে বাধ্য হই।’’

কেজরীওয়ালের দাবি, ‘‘আমি ইস্তফা দিলেই কেন্দ্রের পরবর্তী নিশানা হবেন মমতা ও বিজয়ন। ওঁদের গ্রেফতার করে দুই রাজ্যে সরকার ফেলে দেবে বিজেপি। তাই গণতন্ত্র রক্ষার প্রশ্নে আমি ইস্তফা দেব না।’’ বিজেপির পাল্টা কটাক্ষ, আবগারি দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত হলে তখন ক্ষমতালোভী কেজরীওয়াল নিজের কুর্সি ছাড়তে বাধ্য হবেন। তা ছাড়া সরকার ফেলার যে দাবি তোলা হয়েছে তা অমূলক। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও গ্রেফতার হয়েছেন। সে রাজ্যে সরকার পড়েনি। আসলে পরিবারবাদী দলগুলির মতোই কেজরীওয়াল ক্ষমতা হারানোর ভয় পাচ্ছেন। তাই স্ত্রীকে বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার কৌশল নিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আগামিকাল দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনে নির্বাচন। ওই সাতটি আসনেই ইন্ডিয়া মঞ্চের প্রার্থীরা জিততে চলেছেন বলে দাবি করেছেন কেজরীওয়াল। তাঁর কথায়, ‘‘এ বারের নির্বাচনে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট অন্তত তিনশোটি আসন পেতে চলেছে। বিজেপি গুটিয়ে যাবে দু’শোর মধ্যে।’’ পরোক্ষে আপ প্রধানের দাবি, বিজেপির আসন্ন হারের পিছনে দায়ী ওই দলের মধ্যে চলতে থাকা উত্তরাধিকারের লড়াই। দলের মধ্যে উত্তর ও পশ্চিম ভারতীয় নেতৃত্বের বিভাজনকে উস্কে দিতে কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘নিজের বিশ্বস্ত সঙ্গী অমিত শাহ যাতে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে নিষ্কন্টক ভাবে বসতে পারেন এখন তার ক্ষেত্র প্রস্তুতিতে ব্যস্ত নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু মোদীর পরিকল্পনা রূপায়ণে সবচেয়ে বড় বাধার নাম যোগী আদিত্যনাথ। আপাতত বিজেপিতে ওই দুই শিবিরের মধ্যে ঝামেলা চলছে।’’

অন্য দিকে, কেজরীওয়ালের বাড়িতে স্বাতী মালিওয়ালকে মারধরের অভিযোগ নিয়ে চলা বিতর্কে গোড়া থেকেই দাবি উঠেছে যে এর মূল কারণ রাজ্যসভার আসন ঘিরে বিবাদ। মালিওয়াল শিবিরের মতে, কেজরীওয়াল চেয়েছিলেন স্বাতী রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিন। যাতে ওই আসনে প্রার্থী করা সম্ভব হয় কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে। রাজি হননি স্বাতী। যদিও আজ কেজরীওয়াল জানান, তিনি কাউকে পদ ছাড়তে বলেননি। গত জানুয়ারি মাসে তিনি অভিষেককে দলীয় টিকিটে রাজ্যসভার প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু অভিষেক তা প্রত্যাখ্যান করেন। আজ কেজরীওয়ালের মুখ খোলার পরে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে অভিষেক বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে দু’জন মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা ছিল। কিন্তু আমি কংগ্রেসেই থাকতে চেয়েছি। তাই সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement