সভামঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে অপরূপা পোদ্দার। —নিজস্ব চিত্র।
এ বারের লোকসভা ভোটে টিকিট না মেলায় দলীয় নেতৃত্বের প্রতি অভিমান তো ছিলই। তা ব্যক্তও করেছেন। এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও ঠাঁই হল না আরামবাগের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের। অভিযোগ, তাঁকে মঞ্চে উঠতেই দেওয়া হয়নি! এর পরেই সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন অপরূপা। বেরিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষোভ উগরে দিয়ে দুষলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘হরিপালের দাদা-বৌদি’কে। দলীয় সূত্রে খবর, হরিপালের দাদা-বৌদি বলতে তৃণমূলের বিধায়ক দম্পতি বেচারাম মান্না ও তাঁর স্ত্রী করবী মান্নাকে বুঝিয়েছেন অপরূপা। বেচারাম সিঙ্গুরের ও করবী হরিপালের বিধায়ক।
বুধবার আরামবাগে তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগের সমর্থনে সভা করতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেখানে পৌঁছে যান অপরূপা। কিন্তু মমতার মঞ্চে তাঁকে উঠতেই দেওয়া হল না। এর পর সঙ্গে সঙ্গেই সভাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যান বিদায়ী সাংসদ। বেরোনোর সময় অপরূপা অভিযোগ করেন, কল্যাণ ও হরিপালের দাদা-বৌদিই তাঁকে মঞ্চে উঠতে দেননি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি এখনও দলের সাংসদ। দু’-দু’বারের সাংসদ সাধারণ মানুষের আশীর্বাদে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হরিপালের দাদা-বৌদির দল আমাকে মঞ্চে উঠতে দেয়নি। এরা এ ভাবে তফসিলি জাতি, দলিত ও সংখ্যালঘুদের অপমান করে।’’
কল্যাণের অবশ্য বক্তব্য, এতে তাঁর কোনও হাত ছিল না। শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদের কথায়, ‘‘মঞ্চে কে থাকবেন কে থাকবেন, তা তো ওখানকার সভাপতি ঠিক করেছে। আমার সেখানে কী ভূমিকা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরাই তো লিস্ট দেখে আমাকে মঞ্চে উঠতে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এক নিরাপত্তারক্ষী এসে অরূপ বিশ্বাসকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, উনি (অপরূপা) থাকতে পারবেন কি না। অরূপ বিশ্বাসই বললেন, উনি থাকতে পারবেন না। আর আমি তফসিলি, দলিত ও সংখ্যালঘুদের জন্য কী করি, তাঁরা তা জানেন। এ সব সস্তা দরের কথা বলে লাভ নেই। ব্যক্তিগত রাগ রয়েছে। সেটাই মেটাচ্ছে। কী এসে যাচ্ছে আমার?’’