গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সারা দেশে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হবে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে ওই চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তবে এক দশক পেরিয়ে গেলেও এ দফাতেও বিধানসভা ভোট ঘোষণা হয়নি জম্মু ও কাশ্মীরে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫টি লোকসভা আসনের সঙ্গেই ১৭৫টি বিধানসভায় এক দফায় ভোট হবে। ওড়িশার ২১টি লোকসভার সঙ্গে ১৪৭টি বিধানসভায় ভোট হবে চার দফায়। অরুণাচলের দু’টি লোকসভা এবং ৬০টি বিধানসভার মতোই সিকিমের একটি লোকসভা ৩২টি বিধানসভার ভোটগ্রহণ এক দফাতে হবে। আগামী ৪ জুন লোকসভা ভোটের সঙ্গেই হবে চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের গণনা।
নির্বাচন কমিশন জানিয়ে আগামী ১৯ এপ্রিল অরুণাচল এবং সিকিমে ভোটগ্রহণ হবে। অন্ধ্রপ্রদেশে১৩ মে। ওড়িশায় ভোটগ্রহণ ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন। ২০০০ সাল থেকে টানা ওড়িশায় মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়ক। ২০১৯-এ ১১৪টি আসনে জিতেছিল তাঁর দল। এ বারও বিজেডির সঙ্গে বিজেপি এবং কংগ্রেসের ত্রিমুখী লড়াই হবে ওই রাজ্যে।
২০১৯-এ তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান চন্দ্রবাবুর পাঁচ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইতি টেনে প্রথম বার অন্ধ্রে ক্ষমতা দখল করেছিল জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস। এ বার টিডিপি, বিজেপি এবং তেলুগু অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের দল জনসেনার জোট জগনকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তা ছাড়া গত দু’টি লোকসভা-বিধানসভা ভোটে অন্ধ্রে একটিও আসনে জিততে ব্যর্থ কংগ্রেস এবং জগনের বোন শর্মিলার নেতৃত্বে নতুন উদ্যমে লড়তে নেমেছে।
২০১৪-র বিধানসভা ভোটে জিতে অরুণাচলে কংগ্রেস সরকার গঠন করলেও পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু অধিকাংশ বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৯-এর ভোটে সেখানে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছিল পদ্মশিবির। এ বার কংগ্রেস, এনপিপির মতো বিরোধী দলগুলি থাকলেও সেখানে বিজেপির ক্ষমতা পুনর্দখল কার্যত নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্য দিকে, ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে সিকিমে ২৫ বছরের মুখ্যমন্ত্রী পবনকুমার চামলিংয়ের দল সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চার প্রধান প্রেম সিংহ তামাং ওরফে পিএস গোলে। এ বারও মূল লড়াই ওই দু’দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ।