অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
কুন্তল ঘোষ হয়ে গেলেন কুণাল ঘোষ। তাপস মণ্ডল হয়ে গেলেন তাপস পাল। আর গোপাল দলপতি হয়ে গেলেন কী এক কুলপতি! মঙ্গলবার বনগাঁর সভা থেকে অমিত শাহের বক্তৃতায় নাম বিভ্রাটের এই ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হল সমাজমাধ্যমে। যা নিয়ে শাহ তথা বিজেপিকে খোঁচা দিল তৃণমূল। পাল্টা মমতার কথা টেনে তৃণমূলকে বিঁধল পদ্মশিবির।
বনগাঁর সভায় শাহ বলেন, ‘‘মোদীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। কিন্তু বাংলা পিছিয়ে পড়েছে। কেন পিছিয়ে পড়েছে? কারণ এখানে দুর্নীতি চলছে।’’ এর পরেই শাহ বলেন, ‘‘এই অনুব্রত মণ্ডল, এই কুণাল ঘোষ, তাপস পাল, কে এক কুলপতি— এঁরা সকলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা, গরু পাচার মামলা, কয়লা মামলায় জেলে গিয়েছেন।’’
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষ জেলে রয়েছেন। তাপস মণ্ডলও কারাগারে। গোপাল দলপতি বলে এক জন এজেন্ট গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু শাহ যে চার নাম বলেছেন, তার মধ্যে তিনটির সঙ্গে এই মামলাগুলির কোনও সম্পর্ক নেই। তাপস পাল কয়েক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। শুধু অনুব্রতের নাম-পদবি ঠিক বলেছেন শাহ। শাহের বক্তৃতায় নাম বিভ্রাটের ক্লিপ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। শাসকদলের তারকা প্রচারক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘অমিত শাহের মাথায় সারা ক্ষণ আমার নামটা ঘুরছে, তাই বলে ফেলেছেন।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো কথা টেনে পাল্টা বিজেপিও শাসকদলকে বিঁধতে চেয়েছে। রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী বলেন, ‘‘যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিধু-কানহুর সঙ্গে ডহরবাবুকে খোঁজেন, যিনি রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর তাঁর হাতে শরবতের গ্লাস তুলে দিয়ে গান্ধীজিকে খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান, তাদের মুখে বড় বড় কথা মানায় না। আসলে তৃণমূল ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না। তাই এ সব নিয়ে কথা বলছে।’’