অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
রাহুল গান্ধী তাঁর পুরনো কেন্দ্র অমেঠী থেকে এ বারের লোকসভা ভোটে লড়বেন কি না, তা নিয়ে তাঁকে ক্রমাগত কটাক্ষ করে চলেছেন বিজেপি নেতারা। রাহুল এ বারও কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই বিজেপি নেতারা বারবার বিষয়টি নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে চলেছেন। অমেঠীর বর্তমান বিজেপি সাংসদ স্মৃতি ইরানি এ নিয়ে নিত্যদিনই রাহুলকে কটাক্ষ করছেন। এ বার তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও রাহুলকে বিদ্রুপ করলেন। রাহুলের অমেঠী কেন্দ্রে না যাওয়া নিয়ে তাঁকে বিদ্রুপ করার পাশাপাশি অমিত শাহ জানিয়েছেন, রাহুলের উচিত অমেঠী কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে দাঁড়ানো।
অমেঠী কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী নিয়ে দল বা রাহুল নিজে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। রাহুল গত কালই জানিয়েছেন, অমেঠী কেন্দ্রে তাঁর লড়াইয়ের ব্যাপারে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তিনি তা মেনে নেবেন। কংগ্রেসের একটি সূত্রের বক্তব্য, অমেঠীতে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য এখনও সময় আছে। রাহুলকে শেষ মুহূর্তে ওই কেন্দ্রে ফের দাঁড় করিয়ে চমক দিতে পারে কংগ্রেস। সে ক্ষেত্রে রাহুল পিছিয়ে যাননি, এই বার্তা যেমন দেওয়া যাবে, তেমনই বিজেপির প্রচারকে মিথ্যে প্রমাণ করে ভোটের ময়দানে ফায়দা তোলার অঙ্ক রয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে।
রাহুলকে নিয়ে বিজেপি শিবিরের এই নিরন্তর প্রচারের মধ্যেই বৃহস্পতিবার ফের খবরে উঠে এল অমেঠী। এ দিন অমেঠীর প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা তথা কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সমন্বয়ক বিকাশ অগ্রহরি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে দুপুরে প্রচার করেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি-ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন মাধ্যমেও একই কথা প্রচার করে বলা হয়, এ দিন সাংসদ স্মৃতি ইরানির উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বিকাশ অগ্রহরি। একে কংগ্রেস নেতাটির ‘হৃদয় পরিবর্তন’ বলে প্রচার করার পাশাপাশি বিষয়টি কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা বলেও প্রচার করে আসরে নেমে পড়েন বিজেপির একাধিক মুখপাত্র। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরেই বিকাশ সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানিয়ে দেন, তিনি মোটেই বিজেপিতে যোগ দেননি। তিনি কংগ্রেসেই আছেন এবং থাকবেনও। বিকাশের ব্যাখ্যা, এ দিন কিছু কাজের জন্য তিনি সাংসদ স্মৃতি ইরানির সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে তাঁকে গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয় এবং সেই ছবি দেখিয়ে বিজেপি মিথ্যে প্রচার করতে শুরু করে। কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পরে বিজেপিকে ‘মিথ্যের কারবারী’ বলে চড়া সুরে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস।