অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র
লোকসভায় ৪০০-রও বেশি আসন পাওয়ার ব্যাপারে প্রত্যয়ী বিজেপি নেতৃত্বের মুখে একাধিক বার শোনা গিয়েছে, ‘এ বার ৪০০ পার’ স্লোগান। কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশের পর যদি বিজেপি সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় জাদুসংখ্যা বা ‘ম্যাজিক ফিগার’ না পায়, তখন কী হবে? এই বিষয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রত্যয়ের সুরেই শাহ জানিয়েছেন, জাদুসংখ্যা ছোঁয়ার জন্য তাঁরা কোনও ‘প্ল্যান বি’ বা বিকল্প ভাবনা রাখছেনই না।
বর্তমান লোকসভার আসন বিন্যাস অনুযায়ী কোনও দল বা জোটকে সরকার গঠন করতে হলে ন্যূনতম ২৭২টি আসন পেতেই হবে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই পেয়েছিল ৩০৩টি আসন। এ বার বিজেপির লক্ষ্য ৪০০-র বেশি আসন পাওয়া। বিজেপি জাদুসংখ্যা ছুঁতে বিকল্প কোনও পরিকল্পনা করছে কি না, এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে শাহ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “আমি তেমন কোনও সম্ভাবনাই (২৭২-এর কম আসন পাওয়া) দেখছি না।” তার পরেই তাঁর সংযোজন, “বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের প্রায় ৬০ কোটি উপভোক্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন বর্ণের, বিভিন্ন বয়সের মানুষ। যাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুযোগসুবিধা পেয়েছেন, তাঁরা জানেন নরেন্দ্র মোদীকে ৪০০ আসন দিতে হবে।”
সরকার গঠনের জন্য কেন বিজেপি কোনও বিকল্প ভাবনা রাখছে না, সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শাহের ব্যাখ্যা, “যখন প্ল্যান ‘এ’ সফল হওয়ার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশের কম থাকবে, তখন প্ল্যান ‘বি’ তৈরি করার প্রয়োজন হয়। আমি নিশ্চিত যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছেন।” বিজেপির সাফল্যের রসায়ন ব্যাখ্যা করে শাহ এ-ও দাবি করেন যে, দেশের তফসিলি জাতি (এসসি), তফসিলি জনজাতি (এসটি) এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)র মানুষেরা মোদীকেই সমর্থন করবেন।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে শাহের অভিযোগ, তারা দেশকে উত্তর এবং দক্ষিণে ভাগ করছে। দক্ষিণ ভারতের পাঁচ রাজ্য কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটক মিলিয়ে বিজেপি একক বৃহত্তম দল হবে বলেও দাবি করেন শাহ।