Lok Sabha Election 2024

দিশা দেবে বঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্য, মত দু’পক্ষেরই

পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক—এই পাঁচটি রাজ্য মিলিয়ে লোকসভায় মোট ২৩৮টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি, উত্তরপ্রদেশে ৮০টি, বিহারে ৪০টি, মহারাষ্ট্রে ৪৮টি ও কর্নাটকে ২৮টি আসন রয়েছে।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৪ ০৮:৪৬
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচটি রাজ্যই লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিশা ঠিক করে দেবে। শনিবার সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট গ্রহণের আগে এ বিষয়ে কেন্দ্রের প্রধান শাসক দল বিজেপি এবং কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ একমত। উত্তরপ্রদেশ তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া এই পাঁচটি রাজ্যের তালিকায় রয়েছে বিহার, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক।

Advertisement

এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে কর্নাটকে কংগ্রেস ভাল ফল করবে বলে অধিকাংশ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকই একমত। উত্তরপ্রদেশে আবার ভাল ফলের বিষয়ে বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টি-কংগ্রেসের জোট, দুই শিবিরই আশাবাদী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র ও বিহারে এ বার কী হতে চলেছে, তা নিয়ে কোনও শিবিরই নিশ্চিত নয়। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশে ২০১৯-এর তুলনায় বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়বে না। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস ভাল ফল করবে। কর্নাটকেও কংগ্রেস বিজেপির আসন কমাবে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের দাবি, কংগ্রেস একাই ১২৮টি আসন জিতবে।

পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক—এই পাঁচটি রাজ্য মিলিয়ে লোকসভায় মোট ২৩৮টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি, উত্তরপ্রদেশে ৮০টি, বিহারে ৪০টি, মহারাষ্ট্রে ৪৮টি ও কর্নাটকে ২৮টি আসন রয়েছে। পাঁচ বছর আগের লোকসভা নির্বাচনে এই ২৩৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি তথা এনডিএ ১৮৮টি আসন জিতেছিল।

Advertisement

বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, লোকসভায় মোট ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসনই এই পাঁচ রাজ্যে। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচারসূচিতে এই পাঁচটি রাজ্যকেই সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশে যত জনসভা করেছেন, তার প্রায় অর্ধেক শুধুমাত্র এই পাঁচটি রাজ্যে। বিজেপির হিসাবে, প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশে ২০৬টি জনসভা করেছেন। তার মধ্যে ৯৯টি জনসভা করেছেন এই পাঁচটি রাজ্যে।

বিজেপির সামনে চ্যালেঞ্জ হল, গত লোকসভা ভোটে বিহার, কর্নাটকে একটি ও দু’টি বাদে বাকি সব আসনে জিতেছিল এনডিএ। উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রেও সিংহভাগ আসন এনডিএ-র দখলে ছিল। পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসন জিতে অভূতপূর্ব ভাল ফল করেছিল বিজেপি। উল্টো দিকে কংগ্রেস বলছে, গত লোকসভা নির্বাচনে এই পাঁচটি রাজ্যের ২৩৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে এনডিএ ১৮৮টি আসন পেলেও এ বার অনেক রাজ্যেরই সমীকরণ বদলে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রে ২০১৯-এ শিবসেনা বিজেপির শরিক ছিল। এখন উদ্ধব ঠাকরে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে। যদিও তাঁর দল ও শরদ পওয়ারের এনসিপি-তে ভাঙন ধরেছে। বিহারে নীতীশ কুমার ফের বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোয় তার ফায়দা আরজেডি-কংগ্রেস পাবে। কর্নাটকে এখন কংগ্রেস একার জোরে ক্ষমতায়। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি-কংগ্রেসের জোট নিচুতলা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।

তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে কর্নাটক বাদে বাকি চার রাজ্যে ভাল ফলের জন্য কংগ্রেস ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের উপরেই ভরসা করছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা না হলেও তৃণমূলের সাফল্য কংগ্রেস, সিপিএমের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’রই খাতায় যোগ হবে বলে কংগ্রেসের মত। দলের নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, কংগ্রেস এ বার কর্নাটকের সঙ্গে রাজস্থান, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্রে যথেষ্ট আসন বাড়াবে। ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, অসমেও কংগ্রেস আগের তুলনায় বেশি আসন পাবে। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তরপ্রদেশে বিজেপির আসন ২০১৯-এর তুলনায় বাড়বে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement