Afzal Ansari

‘আনসারিরা মাফিয়া নয়’, প্রয়াত মুখতারকে নিয়ে গাজিপুরের আবেগ উস্কে প্রচার দাদা আফজলের

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে পদ্ম-ঝড়ের মধ্যেও সেখানে ৫১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতেছিলেন বিএসপি প্রার্থী আফজল। এ বার তিনি সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ১২:৫১
Share:

(বাঁ দিকে) মুখতার আনসারি এবং আফজল আনসারি (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

দেড় মাস আগে তাঁর ভাই মুখতার আনসারির শেষকৃত্যে জনসমুদ্র দেখেছিল গাজিপুর। আওয়াজ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলে বন্দি প্রাক্তন বিধায়কের রহস্যমৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্তের। দল বদলে আবার লোকসভা ভোটে লড়তে নেমে প্রয়াত ভাইয়ের প্রতি গাজিপুরবাসীর সেই আবেগকেই পুঁজি করেছেন বিদায়ী সাংসদ আফজল আনসারি। বলছেন, ‘‘আমি আফজল আনসারি। মাফিয়া নই। আনসারিরা মাফিয়া নয়, গরিবদের মসিহা (ত্রাতা) ।’’

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা আসন বারাণসীর লাগোয়া গাজিপুর বরাবরই আনসারি পরিবারের ‘দুর্গ’ হিসাবে পরিচিত। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে পদ্ম-ঝড়ের মধ্যেও সেখানে ৫১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতেছিলেন বিএসপি প্রার্থী আফজল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ব্যবধান ছিল ১ লক্ষ ১৯ হাজার ভোটের। এ বার মায়াবতীকে ছেড়ে অখিলেশ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হয়েছেন তিনি।

গত ২৮ মার্চ জেলবন্দি অবস্থায় ‘বাহুবলী’ রাজনীতিবিদ মুখতারের মৃত্যু হয়েছিল। সেই মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর পরিবার। তাদের দাবি, মুখতারকে ধীরে ধীরে বিষ প্রয়োগ করে খুন করা হয়েছে। সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস-সহ বিরোধীরাও মুখতারের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার সব অভিযোগ খারিজ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের দাবি, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে পাঁচ বারের বিধায়ক মুখতারের।

Advertisement

বিতর্কের আবহে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ আফজলকে টিকিট দেওয়ায় পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে জয়ী আফজল যে অপরাধমূলক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাংসদ পদ হারিয়েছিলেন সে কথাও প্রচারে তুলছে পদ্মশিবির। এই আবহে গাজিপুরের মহল্লায় মহল্লায় ঘুরে আফজল জনতার কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন, ‘‘আমি এই কেন্দ্র থেকে দু’বার সাংসদ হয়েছি। কখনও আপনারা আমাকে মাফিয়াদের মতো কার্যকলাপ করতে দেখেছেন?’’

২০০৫ সালে গাজিপুরের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত একটি অপহরণের ষড়যন্ত্রের মামলায় দোষী সাব্যস্ত আফজলকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে ৪ বছর জেলের সাজা দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের এমপি-এমএলএ আদালত। ওই মামলাতেই ১০ বছরের জেলের সাজা হয়েছিল মুখতারের। ২০০৭-এর ‘গ্যাংস্টার আইন’ অনুযায়ী তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক। ১৯৯৭ সালে বারাণসীর ব্যবসায়ী নন্দকিশোর রুংতাকে অপহরণের মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আফজল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement