Lok Sabha Election 2024

মরাঠাভূমে ‘অস্বস্তি’ বাড়ল বিজেপির! পূর্ণমন্ত্রিত্ব না পেয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলল হতাশ শিন্ডেসেনাও

সোমবার শিন্ডেসেনার এক নেতার প্রশ্ন, কেন তাঁদের দলের কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করা হল না? এনডিএ-র অনেক শরিক দল কম আসন পেয়েও কী ভাবে পূর্ণমন্ত্রিত্ব পেয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৪ ১৮:৪২
Share:

(বাঁ দিকে) একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পওয়ার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র

মন্ত্রিত্ব নিয়ে এ বার ক্ষোভের কথা উগরে দিল বিজেপির আর এক জোটশরিক একনাথ শিন্ডের শিবসেনা। সোমবার শিবসেনার মুখ্যসচেতক শ্রীরাং বার্নের প্রশ্ন, পুরনো সঙ্গী হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁদের দলের কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করা হল না? এনডিএ-র শরিক দলগুলির মধ্যে অনেক দল শিবসেনার তুলনায় কম আসন পেয়েও কী ভাবে পূর্ণমন্ত্রিত্ব পেয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রসঙ্গত, শিবসেনার প্রতাপরাও জাদভ রবিবার স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। দলের তরফে আর কারও মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি।

Advertisement

সোমবার তৃতীয় এনডিএ সরকারের মন্ত্রিসভা নিয়ে শ্রীরাংকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা একটা পূর্ণমন্ত্রিত্ব আশা করেছিলাম।” অন্য শরিক দলগুলির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাঁর সংযোজন, “চিরাগ পাসওয়ানের পাঁচ জন সাংসদ রয়েছেন। জিতনরাম মাঝিঁ একাই সাংসদ। জেডিএসের মাত্র দু’জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তা সত্ত্বেও দলগুলি একটি করে পূর্ণমন্ত্রীর পদ পেয়েছে। আমাদের সাত জন লোকসভার সাংসদ রয়েছেন। কেন শিবসেনা কেবল একটি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর পদ পাবে?” শিন্ডের দলের এই নেতার বক্তব্য, শিবসেনা বিজেপির পুরনো সঙ্গী। তাই দলের একটি পূর্ণমন্ত্রিত্ব প্রাপ্য ছিল।

বিজেপির সঙ্গে মন্ত্রিত্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই টানাপড়েন শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের আর এক শরিক দল এনসিপি (অজিত পওয়ার)-র মধ্যে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অজিতের দলকে একটি প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু অজিত শিবির জানায়, তাদের এক জনকে পূর্ণমন্ত্রী করতে হবে। যদিও তাদের এই আর্জি মানা হয়নি। এই বিষয়ে আপাতত ধৈর্য ধরার কথা বলেছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত। আর বিজেপি বলছে, ভবিষ্যতে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হলে এনসিপির কথা মাথায় রাখা হবে।

Advertisement

কিন্তু নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যেরা শপথ নেওয়ার দিন থেকেই শরিকদের এই ক্ষোভ স্বস্তিতে রাখছে না পদ্মশিবিরকে। প্রসঙ্গত, সাবেক শিবসেনা ভেঙে বেশ কয়েক জন বিধায়ক এবং সাংসদকে নিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন শিন্ডে। বিজেপির সমর্থনে তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হন। অন্য দিকে, কাকা শরদ পওয়ারের এনসিপি ভেঙে একই ভাবে বিজেপির হাত ধরেন অজিত। শিন্ডে-বিজেপি সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। পরিষদীয় দলের শক্তির বিচারে পরবর্তী সময়ে শিন্ডের সেনাকেই ‘প্রকৃত’ শিবসেনা এবং অজিতের এনসিপিকে ‘প্রকৃত’ এনসিপির স্বীকৃতি দেয় নির্বাচন কমিশন।

লোকসভা ভোটের ফল বেরোলে দেখা যায়, মাত্র একটি আসনে জয়ী হয়েছে অজিতের দল। আর সাতটি আসনে জয়ী হয়েছে শিন্ডের শিবসেনা। কিন্তু মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, এনসিপি (শরদ পওয়ার), শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)-কে নিয়ে তৈরি জোট ‘মহাবিকাশ আঘাডী’ বা এমভিএ পায় ৩০টি আসন। আর বিজেপি, শিবসেনা, এনসিপির জোট মহাদ্যুতি পায় ১৭টি আসন। চলতি বছরের শেষেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শরিকি কাঁটায় বিদ্ধ হতে হবে কি না, তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে পদ্মশিবিরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement