ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী আলমগির আলম। ছবি: পিটিআই।
ভোটের মধ্যেই গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী আলমগির আলম। মঙ্গলবারই মন্ত্রীর আপ্তসহায়কের পরিচারকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ৩৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। গ্রেফতারও করেছিল মন্ত্রীর আপ্তসহায়ক ও তাঁর পরিচারককে। তা নিয়ে বুধবার আলমগিরকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আলমগির ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী। ইডি সূত্রে খবর, গ্রামোন্নয়ন দফতরে কিছু অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছিল। সেই তদন্তে আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি স্পষ্ট হয়। সোমবার সকাল থেকে ইডির তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থার সাতটি দল বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। তাঁর মধ্যে আলমগিরের আপ্তসহায়ক সঞ্জীব লাল ও তাঁর পরিচারক জাহাঙ্গির আলমের ঠিকানা। জাহাঙ্গিরের রাঁচীর বাড়ি থেকেই সব মিলিয়ে ৩৫.২৩ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এর পরেই বুধবার রাঁচীর আঞ্চলিক অফিসে তলব করা হয় আলমগিরকে। তাঁর বয়ান সংগ্রহ করার জন্যই তাঁকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ইডির বক্তব্য, এই মামলায় কয়েক জন আমলা ও রাজনীতিকের নামও উঠে এসেছে। সে সবের তদন্ত হচ্ছে।
বুধবার সকালে যখন ইডি অফিসে প্রবেশ করার সময় আলমগির বলেছিলেন, ‘‘আমাকে আজও ডাকা হয়েছে। তাই এসেছি।’’ এর পর তাঁকে টানা ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। গ্রেফতার হওয়ার পর আলমগির বলেন, ‘‘ভোট চলছে। ইডি তদন্ত করছে। গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী বলে তারা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। আমি এখনই এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না। মানুষ সব বুঝছেন।’’