জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।
প্রথম দফার তুলনায় অতি সংবেদনশীল (ক্রিটিকাল) বুথের সংখ্যা বাড়ছে দ্বিতীয় দফায়। সেই অনুপাতে বাড়বে বাহিনীর সংখ্যাও। কমিশন সূত্রের খবর, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ইসলামপুর এলাকার উপর বাড়তি নজর রাখা হবে। বাহিনী মোতায়েনও তুলনায় বেশি হবে ওই এলাকায়।
প্রথম দফায় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার মিলিয়ে ২৬৩ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছিল নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে সব থেকে বেশি বাহিনী ছিল কোচবিহারে। আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটে দার্জিলিং, বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জ মিলিয়ে মোতায়েন হবে ২৭২ কোম্পানি বাহিনী (সব মিলিয়ে রাজ্যে বাহিনীর সংখ্যা হবে ৩০৩ কোম্পানি)। সূত্রের দাবি, এর মধ্যে রায়গঞ্জে ১১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। ওই বাহিনীর অর্ধেক আবার থাকবে শুধু ইসলামপুরেই। বালুরঘাটে ৭৩ এবং দার্জিলিঙে ৮৮ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে।
কমিশনের তথ্য বলছে, প্রথম দফার তিনটি আসন মিলিয়ে মোট ৫৮১৪টি বুথের মধ্যে ৮৩৭টি (১৫%) ছিল অতি সংবেদনশীল। সেখানে দ্বিতীয় দফার তিনটি আসনের ৫২৯৮টি বুথের ১১৩৪টি (২১%) অতি সংবেদনশীল হিসেবে ধরা হচ্ছে। এর মধ্যে রায়গঞ্জের ১৭৩০টি বুথের মধ্যে ৪১৮টি (২৪%) ওই তালিকায় থাকছে। বাকিগুলি হল, দার্জিলিঙের ১৯৯৯টি বুথের মধ্যে ৪০৮টি এবং বালুরঘাটে ১৫৬৯টি বুথের মধ্যে ৩০৮টি বুথ।
কমিশন সূত্রের খবর, প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও ১০০% বুথে ওয়েবকাস্ট (শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভোট প্রক্রিয়ার সরাসরি সম্প্রচার কমিশনের কন্ট্রোলরুমে) করার পরিকল্পনা রয়েছে। থাকবেন মাইক্রো অবজ়ারভাররাও। সাধারণ ও পুলিশ অবজ়ারভারের সঙ্গে বিশেষ সাধারণ ও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক এলাকায় থেকেই ভোট পরিচালনা করবেন।
এ দিকে, প্রথম দফায় ভোটের হার গত লোকসভা ভোটের প্রথম দফার তুলনায় কিছুটা কম বলেই কমিশনের হিসেবে ধরা পড়েছে। শনিবার সিইও দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার রাজ্যের প্রথম দফায় তিনটি লোকসভা আসনে সার্বিক ভাবে ভোটের হার ৮১.৯১%। গত বার প্রথম দফায় সেই হার ছিল প্রায় ৮৪%। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথম দফায় আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভোট হয়েছিল। জলপাইগুড়ি ছিল দ্বিতীয় দফায়।
সিইও-দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটে জলপাইগুড়িতে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে (৮৩.৬৬%)। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে কোচবিহার (৮২.১৭%) ও আলিপুরদুয়ার (৭৯.৭৩%)। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কোচবিহারে ৮৩.৮৮% এবং আলিপুরদুয়ারে ৮৩.৭০% ভোট পড়েছিল।
অন্য দিকে, শুক্রবারই শক্তিপুর এবং বেলডাঙার ওসি-কে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, শক্তিপুরের নতুন ওসি হচ্ছেন বিশ্বজিৎ হালদার এবং বেলডাঙার ওসি শামসের আলি।