অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, তৃণমূল। — ফাইল চিত্র।
বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে সভা করতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় বিএসএসএ ময়দানে সভার প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। জনসভার পাশাপাশি একটি মন্দিরের উদ্বোধন করার কথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের। সন্দেশখালিকাণ্ডের পর এই প্রথম ওই লোকসভা যে বসিরহাটের অন্তর্গত, সেখানে আসতে চলেছেন তৃণমূলের সেনাপতি।
গত ৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিবেষ্টিত হয়ে গিয়েছিলেন সন্দেশখালি। উদ্দেশ্য ছিল, তৃণমূলের দাপুটে নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি। কিন্তু শাহজাহানের অনুগামীদের তাণ্ডবে পালিয়ে বাঁচতে হয় ইডি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। তার পর থেকে অনেক জল গড়িয়েছে। সন্দেশখালি হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতির অন্যতম ভরকেন্দ্র। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে উঠে এসেছে এলাকায় তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ। সিপিএম, কংগ্রেসও চুপ করে বসে নেই। সন্দেশখালি নিয়ে সম্মিলিত বিরোধীদের একের পর এক আক্রমণের লক্ষ্য হয়েছে শাসকদল তৃণমূল। এর আগে অভিষেককে সন্দেশখালি যাবেন কি না সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার জবাবে তিনি জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি ঠিক হলে তিনি যাওয়ার কথা ভাববেন। এই পরিস্থিতিতে বুধবারই বসিরহাট যাচ্ছেন অভিষেক। বসিরহাটের বিএসএসএ ময়দানে জনসভা করবেন তিনি। তার পর বসিরহাট শ্মশান সংলগ্ন একটি পুরনো মন্দিরের সংস্কার কাজ শেষের পর তার উদ্বোধন হবে অভিষেকের হাতে।
সাধারণ সম্পাদকের জনসভার আগে প্রস্তুতি চূড়ান্ত। জোরকদমে চলছে ‘ফিনিশিং’য়ের কাজ। সভার মাঠের পাশেই বসিরহাট হাইস্কুল। সেই স্কুলের মাঠে তৈরি হয়েছে হেলিপ্যাড। কলকাতা থেকে উড়ে এসে সোজা স্কুলের মাঠের হেলিপ্যাডেই নামবেন অভিষেক। গোটা এলাকা ঢাকা পড়েছে নিরাপত্তার মোটা চাদরে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ভিড়ের দাপট দেখা যাবে সেনাপতির সভায়। সূত্রের খবর, শুধু বসিরহাট মহকুমাই নয়, গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকেই লোক আনা হবে। এ জন্য জেলা জুড়ে একাধিক প্রস্তুতি সভাও চলেছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে।
সন্দেশখালিকাণ্ডের পর এই প্রথম বসিরহাটে পা রাখছেন অভিষেক। এই বসিরহাট লোকসভার মধ্যেই পড়ছে সন্দেশখালি। হাজি নুরুলকে প্রার্থী করে বসিরহাট লোকসভায় লড়াইয়ে নামবে তৃণমূল। বসিরহাটের সভায় সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূলের সেনাপতি কর্মীদের কী বার্তা দেন, তা সময়ই বলবে।