ছবি: ফেসবুক।
অভিষেক বললেন, বাংলায় ওরা থাকছে, খাচ্ছে আর বাংলার নাম কলুষিত করছে। আসলে বাংলাকে কলুষিত করে দখল করার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। যেভাবে রাজস্থান, কর্ণাটক দখল করেছে, সে ভাবেই বাংলাও দখল করবে। কিন্তু বাংলার দখল নেওয়া অত সহজ নয়। অভিষেক বললেন, বাংলায় ওরা থাকছে, খাচ্ছে আর বাংলার নাম কলুষিত করছে। আসলে বাংলাকে কলুষিত করে দখল করার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। যেভাবে রাজস্থান, কর্ণাটক দখল করেছে, সে ভাবেই বাংলাও দখল করবে। কিন্তু বাংলার দখল নেওয়া অত সহজ নয়।
যারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মহিলাদের সম্ভ্রম ২০০০ টাকায় বিক্রি করেন, সেই দলকে ভোট দেওয়ার আগে দশ বার ভাববেন।
রাজ্যপাল প্রসঙ্গে অভিষেক বললেন, ‘‘রাজ্যপালের একটুও চক্ষুলজ্জা থাকলে পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত। বাংলার মানুষের উচিত রাজভবন বয়কট করা। রাজ্যপাল যদি স্বচ্ছ হন, তা হলে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনছেন না কেন?’’
শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে বললেন, ‘‘ওই বেইমানটাকে বলবেন, আমি ওকে বেইমান বলছি, গদ্দার বলছি, ঘুষখোর বলছি। কী করবে করে নিক।’’
অভিষেক বললেন, ‘‘বিজেপির নেতারা বলতেন, সন্দেশখালি করবে তৃণমূলের চেয়ার খালি। আর আজকের ভিডিয়ো বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি দলটাই জালি।’’’
অসত্য বলার মতো একতাও নেই বিজেপির, কটাক্ষ অভিষেকের। বললেন, সুকান্ত মজুমদার এক রকম কথা বলছেন, শুভেন্দু বলছেন অন্য কথা। বার বার সেই বয়ান বদলাচ্ছেও। আসলে অসত্য বলার মতো একতাও নেই বিজেপির।
গঙ্গাধর সকালেই বলেছিলেন ভিডিয়োয় তিনি রয়েছেন। গলার স্বর তাঁর। বিকেলে বলছেন, তাঁর কণ্ঠস্বর প্রযুক্তির মাধ্যমে বিকৃত করা হয়েছে।
খালি কয়েকটা ভোটের জন্য যা নয় তাই করা হচ্ছে। সমস্যা আদৌ হয়েছে কি না যাচাই না করেই সিবিআই হয়ে যাচ্ছে। সংবিধান মেনে পুলিশকে সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না। তদন্ত করার সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না।
গঙ্গাধরকে চিনতেই পারছেন না বিজেপির নেতারা। বলছেন, ‘‘ওকে চিনি না। বুথে কাজ করে কি না তা-ও জানে না। অথচ বিকেলে নিজের ভিডিয়ো প্রকাশ করে সেই গঙ্গাধরই বলছে তিনি বিজেপির মণ্ডল সভাপতি।’’
কাশ্মীরের পুলওয়ামা প্রসঙ্গে সত্যপাল মালিক বলেছিলেন, ‘‘পুলওয়ামার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। সে দিনই বুঝেছিলাম এরা কতখানি নিকৃষ্ট।’’
অভিষেক বলছেন, ‘‘পিঠে-পাটিসাপটা বানানো নিয়ে কত কথা বলেছিল সংবাদমাধ্যম। কী ভাবে খবর প্রকাশ হয়েছিল! আর এখন এরা বলছে ধর্ষণই হয়নি। উল্টে ধর্ষণ নিয়ে যাতে কোনও পরীক্ষা দিতে না হয়, সে জন্য ৭ মাস আগের অভিযোগ দায়ের করেছে।’’
গঙ্গাধর সিবিআইয়ের কাছে অভিষেকের নামে অভিযোগ করেছেন বলে প্রকাশ্যে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুনে অভিষেক বললেন, ‘‘ওর সিবিআইকে বলুন, যদি ক্ষমতা থাকে আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাবে। ওর সিবিআই দেখিয়ে রাজনীতি অন্য জায়গায় করতে বলবেন। সিবিআইয়ের তল্পিবাহকতা করার জন্য বাংলার মানুষ বেঁচে আছে। ওর যদি ক্ষমতা থাকে, তা হলে ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন?’’
অভিষেক বলছেন, ‘‘গঙ্গাধর বলেছে ২০০০ টাকা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করিয়েছে বাংলায়। রেখা পাত্র, যিনি ওই এলাকার লোকসভা ভোটের প্রার্থী তিনিও ওই ২০০০ টাকার বিনিময়েই অভিযোগ করেছিলেন। ’’
অভিষেক বললেন, ‘‘পরিকল্পনা করে সন্দেশখালিতে রোবটও নামিয়ে দিল ওরা। যেন মনে হচ্ছিল চাঁদে চন্দ্রযানের প্রজ্ঞান নামছে। এই সব কিছুই দেখানোর জন্য। সব পরিকল্পিত। ’’
অভিষেক বললেন, ‘‘বাংলাকে কলুষিত করার জন্য বিজেপির পাশাপাশি বিচারমাধ্যমের একাংশও দায়ী বলে মনে করি আমি। এ কথা বলার জন্য যদি আমি আদালত অবমাননার দায়ে পড়ি, তবে পড়ব, কিন্তু সত্যি কথা বলা থেকে আমাকে আটকানো যাবে না।’’
(আনন্দবাজার অনলাইন দেশের সমস্ত বিচারালয়, বিচারপতি এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই খবরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, তা তাঁর নিজস্ব অভিমত। তার দায় আনন্দবাজার অনলাইনের নয়)
গরু পাচারে দায়ী অমিত শাহ। তাঁর অধীনস্থ সীমান্তরক্ষী বাহিনী গরু পাচার করার জন্য দায়ী। অনুব্রত মণ্ডল জেলে। তার পরও উত্তরপ্রদেশ থেক গরু ঢুকছে। আর দোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? প্রশ্ন করলেন অভিষেক।
কুণাল ঘোষ প্রসঙ্গে অভিষেক বললেন, কেউ দলীয় শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে নয়। দলের হয়তো মনে হয়েছে শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়েছে। তাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একে এত গুরুত্ব দেওয়ার কী আছে। ডেরেকের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে বললেন, আমি জানি না, আমার সঙ্গে বৈঠক হয়নি। যাঁর সঙ্গে হয়েছে, তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন।
বিজেপিকে কটাক্ষ করে অভিষেক বললেন, ‘‘আপনারা সবাইকে জেলে ঢোকান কিন্তু বাংলার অসম্মান করবেন না।’’
অভিষেক বললেন, ‘‘শুভেন্দু তো ভিডিয়োতে বলেছেন ৩৫৫ জারির পরিস্থিতি তৈরি হবে। প্রায়ই এই সব বলছেন। বলে থাকেন। এমনও বলেন ২০২৬ সালে ভোট হবে না বাংলায়। তার আগেই সরকার ভেঙে দেব।’’