অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিকাণ্ডে বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। এসএসএসসি মামলার রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর চাকরি গিয়েছে। এ নিয়েও রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করছে বিরোধীরা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে বাংলার দুর্নাম করা হচ্ছে। সোমবার হাওড়ার নির্বাচনী প্রচার থেকে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি এই মাটির সন্তান, বাংলাকে অপমান করতে দেব না! এক ছটাক জমি ছাড়ব না।’’
হাওড়া জেলায় জোড়া কর্মসূচি ছিল অভিষেকের। প্রথমে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের আমতায় জনসভা করেন। তার পর হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে রোড-শো। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ রোড শো শুরু হয় দাশনগর থানার সামনে থেকে। বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থকদের ভিড়ের মধ্যে দিয়ে তা শেষ হয় বালিটিকুরী মুক্তারাম হাই স্কুল পর্যন্ত গিয়ে। হাওড়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে রোড-শো করেন অভিষেক। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়, মনোজ তিওয়ারি, হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। প্রায় দুই কিলোমিটারের রাস্তায় অভিষেক হাত নেড়ে আবার কখনও ফুল ছুড়ে জনসংযোগ করেন। আবার কখনও জনতার ভিড়ের সামনে আবার কখনও জোড়হাতে গ্রহণ করেন অভিবাদন। রোড-শোর শেষে থেকে বিজেপি এবং সিপিএমকে চড়া সুরে আক্রমণ করেন অভিষেক। এক দিকে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প, আবাস যোজনার মতো প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ করেন। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে ভোটের আগে বিরোধীদের ‘চমকানোর’ অভিযোগ করেন। প্রসূনের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘আমি এক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করব, সঠিক সময়ে, কী ভাবে মিডিয়ার একটি নির্দিষ্ট অংশ বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি বাংলাকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র করছে।’’ অভিষেকের অভিযো, এই চেষ্টা লাগাতার চলছে। তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি তথ্য বা প্রমাণ ছাড়া কথা বলি না। আমি অপ্রয়োজনীয় প্রচার করি না বা ‘বোমা ফেলার’ ভিত্তিহীন মন্তব্য করি না।’’
পাশাপাশি আমতার বাকসি মাঠের জনসভা থেকে অভিষেক বিজেপিকে নিশানা করে কটাক্ষ করেন,‘‘পদ্মফুল না দেখুক, বিজেপিরা সর্ষে ফুল দেখবে।’’ ফি বছর উদয়নারায়ণপুর এবং আমতার বিস্তীর্ণ অংশে বন্যার কথা তুলে ধরে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা। তাঁর অভিযোগ, উদয়নারায়ণপুর, আমতার মানুষের সমস্যা দূর করার জন্য বার বার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
'