—প্রতীকী ছবি।
আনন্দপুর, মাটিগাড়া, ঝাড়গ্রাম-সহ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী হিংসার অভিযোগ তুলে আজ দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল অশ্বিনী বৈষ্ণবের নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। জমা দেওয়া হয়েছে তিন পাতার অভিযোগপত্র।
ওই অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, তৃণমূলের হয়ে এবং তাদের ছত্রচ্ছায়ায় অপরাধীরা বিজেপি কর্মীদের উপর নির্মম ভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়ও তাদের নেই। বিজেপির তরফে কমিশনকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, এর আগে ২২ এপ্রিলও সামগ্রিক অভিযোগনামা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বাংলার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
গত শনিবার রাতে আনন্দপুর থানা এলাকায় বিজেপির কসবা মণ্ডল-৪, বিজেপি সভাপতি সরস্বতী সরকার অভিযোগ করেন, তাঁরা যখন ব্যানার-ফেস্টুন লাগাচ্ছিলেন, তখন তাঁদের কয়েকজনকে তৃণমূলকর্মীরা বেধড়ক মারধর করে। তাতে রক্তাক্ত এবং জখম হন সরস্বতী। সঙ্গে আরও কয়েক জন বিজেপি কর্মীও আহত হন। তার পরেই আনন্দপুর থানায় অভিযোগ জানায় বিজেপি। অভিযোগ, শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত আনন্দপুর থানা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি। এর পরেই দক্ষিণ কলকাতা আসনের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর নেতৃত্বে সরস্বতীকে নিয়ে আনন্দপুর থানা ঘেরাও করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। আনন্দপুর থানা বিকেলে গৌরহরি গায়েন এবং আশরাফ মোল্লা ওরফে ভুতোকে গ্রেফতার করে। বিজেপির দাবি, মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে এবং মামলা রুজু করতে হবে জামিন অযোগ্য ধারায়।