মোদীর সভায় শ্রবণ। — নিজস্ব চিত্র।
ডান হাতে গদা, বাঁ হাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাটআউট। মাথায় বিজেপির প্রতীক পদ্মফুলের মুকুট। বুকেও মোদীর ছবি। পরনে সবুজ পাড় গেরুয়া বসন। রবিবার পুরুলিয়ার গেঙ্গাড়ায় মোদীর সভায় হাজার হাজার মানুষের ভিড়েও চোখ টানলেন হনুমানরূপী এই মোদী-ভক্ত।
শ্রবণ সাহ নামে বিহারের বেগুসরাইয়ের ওই যুবক মোদীর সভার খোঁজ পেলেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই সাজে ছুটে যান। রবিবারের সভায় যোগ দিতে ট্রেনে বেগুসরাই থেকে শনিবারই পৌঁছে গিয়েছিলেন পুরুলিয়া শহরে। এ দিন সকালেই পোশাক পরে রং মেখে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পৌঁছন সভাস্থলে। গদা ঘোরাতে ঘোরাতে মাঝে মধ্যেই ‘নমো-নমো’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
পেশায় রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকের সহকারী শ্রবণ বলেন, ‘‘২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তাঁর কাজ দেখে ভক্ত হয়ে পড়ি। তারপর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সভায় হনুমান সেজে হাজির হওয়া আমার নেশা হয়ে ওঠে। নিজের যা রোজগার সেখান থেকেই খরচ বাঁচিয়ে মোদীকে সমর্থন জানাতে ঘুরছি।’’ শ্রবণের দাবি, ২০১৫ থেকে এ দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর ১৪১টি সভায় তিনি হাজির থেকেছেন। ইতিমধ্যে ঘুরেছেন বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে। বাংলাতে অবশ্য গত বিধানসভা ভোটেও এসেছেন। তবে লোকসভা ভোটে এই প্রথমবার এ রাজ্যে এলেন। আজ, সোমবার ঝাড়গ্রামেও মোদীর সভাতেও তিনি থাকবেন বলে জানান।
শ্রবণের এসেছেন তাঁর কলেজ পড়ুয়া ছেলে বিনোদ সাহ। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন সভায় কত ধরনের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। বাবার নেশার সঙ্গী হয়ে আমার ভারত-দর্শন হয়ে যাচ্ছে।’’
শ্রবণকে ঘিরে তৈরি হওয়া জটলায় থাকা পুরুলিয়া শহরের হনুমান চালিশা প্রচার সমিতির সদস্য জগদীশ লাটা, পুরুলিয়া শহরের যুবক সাম্মি সাউ বলেন, ‘‘শুধু প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করতে দেশের নানা প্রান্তে একটা মানুষ ছুটে যাচ্ছেন, সত্যিই বিরল।’’