লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে শহরের বিভিন্ন এলাকার ‘এসএসটি (স্ট্যাটিক সার্ভেল্যান্স টিম) নাকা পয়েন্ট’ সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন নির্বাচনী পর্যবেক্ষকেরা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন থানায় গিয়ে তাঁরা খতিয়ে দেখলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে পুলিশ জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাগুলি কার্যকর করেছে কি না। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে ওই পর্যবেক্ষকেরা আমহার্স্ট স্ট্রিট, বেলেঘাটা ও নিউ মার্কেট থানায় গিয়ে সেখানকার আধিকারিকদের কাছ থেকে ভোটের প্রস্তুতির বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। একই সঙ্গে কাশীপুর ও সিঁথির মতো এলাকায় যে সমস্ত ‘এসএসটি নাকা পয়েন্ট’ রয়েছে, সেগুলি ঘুরে দেখেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, বিভিন্ন এলাকার দাগি দুষ্কৃতী থেকে শুরু করে নিয়মিত গোলমাল পাকানো সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, সে ব্যাপারেও একাধিক থানায় গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন পর্যবেক্ষকেরা। শহরের কোনও এলাকায় ভোটারেরা আতঙ্কে রয়েছেন কি না, থাকলে সেই আতঙ্ক কাটাতে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে কি না, পুলিশের কাছে সে বিষয়েও জানতে চান ওই পর্যবেক্ষকেরা।
এক পুলিশকর্তা জানান, বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রস্ত ও আতঙ্কিত ভোটারেরা রয়েছেন। পর্যবেক্ষকেরা নির্দেশ দিয়েছেন, ভোট গ্রহণ মেটা পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। যাতে তাঁরা পুলিশের ভূমিকায় আশ্বস্ত হন। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কী ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়েও খোঁজ নেওয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষকেরা এ দিন বিভিন্ন বুথ ঘুরে দেখেছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
লালবাজার জানিয়েছে, দাগি দুষ্কৃতীদের দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ার কাজ থানাগুলি কতটা করেছে, সে ব্যাপারেও খোঁজ নিয়েছেন ওই পর্যবেক্ষকেরা। পরে লালবাজারে পুলিশকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তাঁরা।