Lok Sabha Election 2024

‘ড্রাগ মাফিয়ার হয়ে প্রচারে যাব কী ভাবে’! বারাসতের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে কমিশনে দলীয় নেতারাই

বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন অশোকনগরের বিজেপি নেত্রী উৎপলা বিশ্বাস এবং বারাসতের বিজেপি নেতা সুভাষচন্দ্র রায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বারাসত শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৩:১৩
Share:

স্বপন মজুমদার। —ফাইল চিত্র।

বারাসতে বিজেপির প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভপ্রকাশ করে আসছিলেন দলীয় কর্মীরা। দলের নির্বাচনী কার্যালয় এবং জেলা পার্টি অফিসে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছিল। এ বার দলের নেতা-নেত্রীরাই স্বপনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করলেন! যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল। স্বপনের অবশ্য দাবি, এর নেপথ্যে শাসকদলের ‘চক্রান্ত’ রয়েছে।

Advertisement

স্বপনের নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের একাংশকে সমাজমাধ্যমে ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছিল। সেটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। সেই ভিডিয়োয় এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের যিনি প্রার্থী হয়েছেন, সেই স্বপন মজুমদার মহাশয় এক জন ড্রাগ মাফিয়া। এ রকম এক জন প্রার্থীর হয়ে কী ভাবে আমরা ভোটপ্রচারে যাব?’’ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি স্থানীয় বিজেপি নেতা শ্যামল দাস। বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের কয়েকটি জায়গায় স্বপনের বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়েছে। এ বার স্বপনের বিরুদ্ধে গত ভোটে কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ারও অভিযোগ তুললেন দলীয় নেতা-নেত্রীদের একাংশ। এ নিয়ে তাঁরা কমিশনেও নালিশ জানিয়েছেন। অশোকনগরের বিজেপি নেত্রী উৎপলা বিশ্বাস এবং বারাসতের বিজেপি নেতা সুভাষচন্দ্র রায় বৃহস্পতিবার কমিশনকে এ বিষয়ে চিঠিও দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, হলফনামায় অসমে মাদক পাচার সংক্রান্ত একটি মামলা নিয়ে ‘মিথ্যা’ তথ্য দিয়েছিলেন স্বপন। ‘মিথ্যা’ তথ্য দিয়েছিলেন নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সম্পত্তি নিয়েও।

মাদক মামলা সংক্রান্ত অভিযোগ এবং পোস্টারকাণ্ডের প্রেক্ষিতে স্বপন অবশ্য আগেই দাবি করেছিলেন যে, তৃণমূলই এ সব করাচ্ছে! তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি পুরোপুরি সরে গিয়েছে। ওরাই এ সব নোংরামি করার চেষ্টা করছে। তাতে কিছু লাভ নেই। বিজেপির সঙ্গে মানুষ রয়েছেন। বারাসত লোকসভাবাসী বিজেপিকে আনতে চান।’’

Advertisement

বিজেপি সূত্রে খবর, ২০১৭ সালে মাদক আইনে স্বপনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ট্রেন সফরের সময় তাঁর কাছে মাদক পাওয়া যায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছে শাসকদল। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি খবরের কাগজের কাটিং এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে স্বপনের মনোনয়নপত্রের একটি অংশের ছবি পোস্ট করেছিলেন। সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘‘ইনিই কি সেই বিজেপির বারাসতের প্রার্থী? যদি তা-ই হন, তা হলে তিনি মাদককাণ্ডে ঘোষিত অপরাধী। বিজেপি এর ব্যাখ্যা দিক।’’ স্বপনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গত লোকসভা ভোটে বিজেপির বারাসতের প্রার্থী মৃণালকান্তি দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘‘এঁর যে প্রোফাইল আমি দেখলাম, একটা কেস রয়েছে ওঁর নামে। আমি এই রকম একটা লোকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাঁর হয়ে লোকের কাছে যদি ভোট চাই, ওখানকার লোক তো আমায় জুতো মারবেন।’’ পাল্টা স্বপন বলেন, ‘‘উনি অবসাদে ভুগছিলেন। কাকলিদেবীর (তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদার) কিছু লোক ওঁকে কিছু প্রলোভন দেখিয়ে এটা করিয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement