— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। তার আগেই চলতি সপ্তাহে প্রথম দফায় কলকাতা পুলিশ এলাকার জন্য আসতে চলেছে সাত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দ্বিতীয় দফায়, অর্থাৎ ৭ মার্চের মধ্যে চলে আসবে আরও তিন কোম্পানি।
পুলিশ সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার আরিজ আফতাব, রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার আনন্দ কুমার এবং সিআরপিএফ-এর আইজি বি কে শর্মা। সেখানেই কলকাতা-সহ রাজ্যের কোথায়, কত বাহিনী প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় মোতায়েন করা হবে, তা ঠিক করা হয়। আগেই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, পয়লা মার্চ প্রথম দফায় রাজ্যে আসবে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দ্বিতীয় দফায়, ৭ মার্চ আসবে আরও ৫০ কোম্পানি। অর্থাৎ, ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন করা হচ্ছে মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপের ফলে কলকাতা পুলিশের জন্য বরাদ্দ হয়েছে দু’দফায় দশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর, পয়লা মার্চের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ এবং অঞ্চলভিত্তিক নিয়ন্ত্রণের (এরিয়া ডমিনেশন) কাজে তাদের ব্যবহার করা হবে।
এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোথায় রাখা হবে, তার জন্য কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানাকে নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনার জন্য মঙ্গলবারই নির্দেশ দিয়েছিল লালবাজার। সেই মতো প্রতিটি থানা তাদের এলাকার ফাঁকা স্কুল-কলেজ কিংবা ধর্মশালায় ওই বাহিনীকে রাখার ব্যবস্থা করেছে। তবে এখন উচ্চ মাধ্যমিক ছাড়াও আইসিএসই এবং সিবিএসই পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা চলছে বিভিন্ন কলেজেও। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাহিনীকে রাখার বিষয়ে অসুবিধায় পড়তে হতে পারে লালবাজারকে।
পুলিশকর্তারা জানাচ্ছেন, নির্বাচনের সূচি ঘোষণার পরেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং প্রশাসন চলে আসে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সাধারণত, তার পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এ বার উল্টো পথে হেঁটে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের এই সিদ্ধান্ত বলে অনুমান পুলিশকর্তাদের।
এক পুলিশকর্তা জানান, গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রতিটি থানার তরফে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৈনিক রিপোর্ট পাঠাতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। মনে করা হচ্ছে, ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই রাজ্যে আগেভাগে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হল।