Lok Sabha Election 2024

নজরদারিতে ১৫৫ কোম্পানি বাহিনী

বর্ধমান পূর্ব লোকসভার মধ্যে রয়েছে কাটোয়া, পূর্বস্থলী উত্তর ও দক্ষিণ, কালনা, মেমারি, জামালপুর ও রায়না বিধানসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ০৯:৫২
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

জেলার ১৬টি বিধানসভার মধ্যে ১৫টি বিধানসভার বাসিন্দারা ভোটের লাইনে দাঁড়াবেন আজ সোমবার। বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর ছাড়াও আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম বিধানসভা পড়ছে বোলপুর লোকসভার মধ্যে। শুধুমাত্র খণ্ডঘোষ বিধানসভা রয়েছে বিষ্ণুপুর লোকসভার মধ্যে। সেখানে ভোট হবে ২৫ মে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সব বুথ চত্বরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। সব বুথেই থাকবে ওয়েব ক্যামেরা। যার মাধ্যমে সরাসরি বুথের ছবি দেখতে পারবে কমিশন।

Advertisement

জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) রাধিকা আইয়ার বলেন, “কমিশনের নির্দেশ মতো সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

এ বারের লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় এসেছে। ২০১৪ সালে অবিভক্ত বর্ধমানে ৪৮ কোম্পানি, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে সাবেক বর্ধমানে ১৯৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। ২০১৭ সালে বর্ধমান পূর্ব ও পশ্চিমে ভেঙে যায়। ২০১৯ সালে ১৪৬ কোম্পানি, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জেলায় ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। এ বারের ভোটে জেলায় ১৫৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। জানা গিয়েছে, বর্ধমান দক্ষিণ, কাটোয়া, কালনা, মঙ্গলকোট ও মেমারিতে বেশি বাহিনী থাকছে। মেমারিতে ১৭ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। এ ছাড়াও জেলায় ৭৩৯৬ জন পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন। কমিশন সূত্রে জানা যায়, এক থেকে তিনটি বুথ রয়েছে এমন চত্বরে চার জন, চার থেকে ছ’টি বুথ রয়েছে এমন চত্বরে আট জন জওয়ান থাকবেন। সাত-আটটি বুথ একটি চত্বরে থাকলে সেখানে ১২ জন জওয়ান থাকবেন। বুথ পাহারা দেওয়া ছাড়াও জেলায় ৩৪০টি সেক্টর মোবাইল থাকবে। ৫৫টি রেসপন্স টিমও গড়া হয়েছে।

Advertisement

বর্ধমান পূর্ব লোকসভার মধ্যে রয়েছে কাটোয়া, পূর্বস্থলী উত্তর ও দক্ষিণ, কালনা, মেমারি, জামালপুর ও রায়না বিধানসভা। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার মধ্যে পড়ছে, বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণ, ভাতার, মন্তেশ্বর, গলসি ও পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিম বিধানসভা। কমিশনের কর্তাদের দাবি, “এ বার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ৩১টি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলে আট জন করে জওয়ান থাকছেন। থাকছে ওয়েব ক্যামেরা। কমিশনের কর্তারা দিল্লি থেকে সরাসরি বুথে নজর রাখতে পারবেন।” এ ছাড়াও শুধুমাত্র প্রিসাইডিং অফিসারের ‘নোট বুকে’ ভরসা না রেখে মাইক্রো অবজার্ভারদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “শুধু বুথে বাহিনী থাকলে হবে না, কমিশনকে সক্রিয় থাকতে হবে, যাতে নির্বিঘ্নে মানুষ ভোট দিতে পারেন।” বিজেপির নেতা অভিজিৎ তা বলেন, “বুথ দখল যাতে না হয়, সে জন্য কমিশনের কাছে দাবি করেছিলাম। কমিশন সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে।” তৃণমূল নেতা রাসবিহারী হালদারের দাবি, “যত খুশি বাহিনী দিক, অসুবিধা নেই। মানুষ নিজের ভোট নিজে দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষেই রায় দেবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement