বাড়িতে বসে ভোট দিলেন চুঁচুড়ার কপিডাঙার বাসিন্দা, ১০১ বছরের বৃদ্ধা প্রিয়বালা কুন্ডু। —নিজস্ব চিত্র।
গত ২০ বছরে অনেক ভোট হয়েছে। অথচ, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের ইচ্ছে থাকলেও শরীর তাঁর সঙ্গ দেয়নি। ১০১ বছরে পা দিয়ে তিনি যে বাড়িতে বসেই ভোট দিতে পারবেন, ভাবতে পারেননি চুঁচুড়ার কপিডাঙার বাসিন্দা প্রিয়বালা কুণ্ডু। বৃহস্পতিবার ঠিক সেটাই হল।
গত বিধানসভা নির্বাচন থেকেই ৮০ বছরের বেশি বয়সি প্রবীণ এবং বিশেষ ভাবে সক্ষমদের (অন্তত ৪০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষ) জন্য বাড়ি গিয়ে ভোট গ্রহণ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বাড়ি থেকে ভোট দানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়ঃসীমা ৮৫ করা হয়েছে। তবে, গত বার বিধানসভা নির্বাচনে আবেদন করতে দেরি হওয়ায় ভোট দিতে পারেননি প্রিয়বালা। উল্লেখ্য, বাড়িতে ভোটদানে ইচ্ছুকদের ১২ডি ফর্ম পূরণ করে সম্মতি জানাতে হয় নির্বাচন কমিশনে। প্রশাসন এই সুবিধা দিতে প্রস্তুতি চালাচ্ছিল কিছু দিন ধরে। সম্মতি দেন বৃদ্ধা।
এ দিন তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন দু’জন পোলিং অফিসার, বিএলও, পুলিশকর্মী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ক্যামেরার নজরদারিতে। ব্যালট পেপারে ভোট দিয়ে প্রিয়বালা বলেন, ‘‘আগে ভোট কেন্দ্রে গিয়েই ভোট দিতাম। কিন্তু বয়সের ভারে প্রায় ২০ বছর যেতে পারিনি। এ বার পারলাম, ভাল তো লাগবেই।’’
প্রিয়বালার ছেলে প্রয়াত হয়েছেন। বৌমা হরিদাসী এবং নাতি সঞ্জয়কে নিয়ে থাকেন তিনি। সঞ্জয় বলেন, ‘‘বহু দিন ধরেই ঠাকুরমা ভোট দিতে চাইছিলেন। এ বার সরকারি লোকজন এসে জানাতেই আবেদনপত্র পূরণ করি।’’ হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য জানান, নির্বাচনের তিন দিন আগে ব্যালটের মাধ্যমে ‘হোম ভোটিং’ শেষ করার কথা। হুগলিতে ভোট ২০ মে। তাই বুধবার থেকে শুরু হওয়া ‘হোম ভোটিং’ ব্যবস্থা এই জেলায় শেষ হচ্ছে আজ, শুক্রবার।