বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। ছবি: পিটিআই।
বিরোধী দলগুলি আগ্রহ দেখানো সত্ত্বেও বিএসপি নেত্রী মায়াবতী জানিয়েছেন তাঁর দল একাই লড়বে উত্তরপ্রদেশে। তবে রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, বিএসপি-র অস্তিত্বই এখন ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে। সূত্রের খবর, তাদের ১০ জন সাংসদ দলত্যাগী হওয়ার জন্য অন্য দলগুলির সঙ্গে সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। তাঁদের মধ্যে চার জন যোগাযোগ করেছেন শাসক দল বিজেপির সঙ্গে। তিন জন কংগ্রেস এবং তিন জন এসপি-র সঙ্গে কথা বলছেন। স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে, তাঁদের বিএসপি ত্যাগ সময়ের অপেক্ষামাত্র।
অন্য দিকে, শক্তিহীন মায়াবতীর দলিত ভোটব্যাঙ্কে ভাগ বসানোর জন্য মাঠে নেমেছে নরেন্দ্র মোদীর দল। বিজেপির একক শক্তিতে ৩৭০ পার করার যে ঘোষণা মোদী করেছেন, তাকে বাস্তবায়িত করতে হলে, অন্য রাজ্যের পাশাপাশি হিন্দুত্বের গড় উত্তরপ্রদেশেও আসন বাড়াতে হবে। যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপি রাজ্যে হিন্দু উচ্চবর্ণের ভোটব্যাঙ্কের প্রায় পুরোটাই নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে পেরেছে। ২০১৯ সালের লোকসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা ছিল ৬১, এ বার লক্ষ্য ৭০-এ পৌঁছনো। ফলে আসনসংখ্যা বাড়াতে হলে দলিত ভোট পাওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে একলা হয়ে যাওয়া বিএসপি সবচেয়ে সহজ নিশানা। রাজনৈতিক সূত্রে এটাও মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মায়াবতীর উপরে দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তের চাপ বাড়ানোর পর, বিএসপি অলিখিত ভাবে বিজেপির ‘বি টিম’ হিসেবেই কাজ করছে।
তফসিলি জাতি ও জনজাতির মধ্যে সমর্থন বাড়ানোর জন্য বিজেপি দীর্ঘ দিন ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাজ্যের ২০ শতাংশ মানুষ তফসিলি জাতির এবং সেখানে বিএসপি-র প্রভাব যথেষ্ট। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিএসপি-র ভোটের হার কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। বিজেপির ভিতরের হিসাব, কোনও জোটে না যাওয়ায় বিএসপি-র ভোটাররাও তাঁদের সাংসদদের মতোই সম্ভাব্য জয়ী প্রার্থীর দিকেই ঝুঁকবেন। বিজেপি এই দাবিও করছে যে বেশির ভাগ তফসিলি জাতিভুক্ত মানুষ মোদীর বিভিন্ন প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছেন। এই আবহে আজ থেকে বিজেপির তফসিলি মোর্চা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ‘বস্তি সম্পর্ক অভিযান’ শুরু করল। বিজেপির নেতারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তফসিলি জাতির উন্নয়নের পথনির্দেশিকা দেবেন এবং মোদীর জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি ব্যাখ্যা করবেন।